নাটোর শহরের হাফরাস্তা এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে গণধর্ষণের ঘটনার সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। খবর প্রকাশ্যে আসার পরই সাঁড়াশি অভিযানে তিন ধর্ষককে আটক করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আটককৃতরা হলেন- ধর্ষক শহরের কানাইখালী মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে কুখ্যাত সন্ত্রাসী রনি মিয়া, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রকি এবং আব্দুল মজিদের ছেলে সোহান বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে শহরের হাফরাস্তা থেকে মৃদুল হোসেন এবং তার স্ত্রী মিথিলা পারভীনকে আটক করা হয়েছে।
চাঞ্চল্যকর গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে শহরের হাফরাস্তা এলাকার সাগর মিয়ার বাসায়। মঙ্গলবার বিকালে রাজশাহীর বিনোদপুর থেকে আবির (২১) নামের এক দোকান কর্মচারী তার এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রেমিকাকে নিয়ে নাটোর আসেন বিয়ে করার উদ্দেশ্য। পরে স্থানীয় এক বন্ধু বিয়ে দেওয়ার কথা বলে শহরের হাফরাস্তা এলাকায় মৃদুল ও মিথিলা দম্পতির বাসায় নিয়ে যান। এই দম্পতি রনি, রকি ও সোহানকে সেখানে ডেকে নিয়ে আসে। এসময় তারা দলবদ্ধভাবে ওই ছাত্রীকে গলায় চাকু ধরে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে তাদের কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখানো হয়।
পরবর্তীতে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী এবং তার প্রেমিক ছাড়া পেয়ে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে নাটোর থানায় গিয়ে অভিযোগ করে। ঘটনার খবর পাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে সক্রিয় হন নাটোর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতেই মিথিলা ও মৃদুলকে শহরের হাফরাস্তা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়। এছাড়া তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার ভোররাতে সদর উপজেলার তেলকুপি নুরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে আটক করে। বাঁকি জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সদর থানার এসআই জামাল উদ্দীন জানান, আমরা ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর পরই অভিযানে নামি। ঘটনার পর পরই শহরের হাফরাস্তা থেকে দুই সহযোগী এবং তেলকুপি নূরানীপাড়া থেকে তিন ধর্ষককে আটক করা হয়। তিন র্ধষক শহরের চিহিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ এবং মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের অটক করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।