শুক্রবার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শুধুই বাংলাওয়াশ, না আরও কিছু?

ওয়ানডের মত টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও দলগত আর ব্যক্তিগত অর্জনে ঠাসা। বৃষ্টিতে এক ম্যাচ ধুয়েমুছে যাওয়ায় একদিনের সিরিজে আইরিশদের ‘বাংলাওয়াশ’ করা সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত তিন ম্যাচের সিরিজটি ২-০ থেকে গেছে। তারপরও তামিম ইকবালের দলের অর্জন ও সাফল্য আকাশছোঁয়া। একই সিরিজে দুইবার নিজেদের দলগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ গড়া আর শেষ ম্যাচে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ডও হয়েছে।

সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ৮ উইকেটে ৩৩৮ রানের সংগ্রহ গড়ে রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয় (১৮৩ রানের) তুলে নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজেদের সবচেয়ে বড় টিম স্কোর (৬ উইকেটে ৩৪৯) গড়ে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হলেও শেষ খেলায় আইরিশদের ১০১ রানে বেঁধে ১০ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তামিম বাহিনী। একদিনের ক্রিকেটে সেটাই টিম বাংলাদেশের প্রথম ১০ উইকেটে জয়।

সাফল্যের সে ধারা অব্যাহত আছে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। সিলেটে ছিল ওয়ানডে সিরিজ, টি-টোয়েন্টি চট্টগ্রামে। তবে ভেন্যু বদল হলেও টাইগারদের সাফল্যে ছেদ পড়েনি। বৃষ্টিবাধায় পড়া দুই ম্যাচেই দুইশোর্ধ্ব সংগ্রহ গড়ে সহজ জয় পেয়েছে। দুই ওপেনার লিটন দাস আর রনি তালুকদার প্রথম টি-টোয়েন্টিতে উদ্বোধনী জুটিতে ১২৪ রান তুলে রেকর্ড গড়েছেন। পাওয়ার প্লে‘র ৬ ওভারেও ৮১ রান তুলেও আরেক রেকর্ড গড়েন লিটন-রনি।

সেটাই শেষ নয়। ব্যক্তিগত সাফল্যে সাকিব গড়ে বসেন এক বড়সড় কীর্তি। নিউজিল্যান্ডের টিম সাউদিকে পেছনে ফেলে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সর্বাধিক উইকেট শিকারি এখন সাকিব। একইভাবে ১৬ বছর আগে মোহাম্মদ আশরাফুলের করা রেকর্ড ভেঙে ১৮ বলে বাংলাদেশের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন স্টাইলিশ ওপেনার লিটন দাস। সাফল্যের এমন সোনালি চাদরে মোড়ানো এক সিরিজ শেষের পথে।

আগামীকাল (শুক্রবার) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি। একটি সিরিজ থেকে যতটা ব্যক্তিগত ও দলগত অর্জন সম্ভব, তার প্রায় সবটাই করে দেখিয়েছে সাকিবের দল। এবার জিতলে ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশ মিশন তো পূরণ হবে। তার সঙ্গে কি আরও কিছু রেকর্ডও যোগ করবে টাইগাররা? যেমন ছন্দে আছে দল, নতুন কিছু ঘটা অসম্ভব নয় একেবারেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *