জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে আজ তার সংসদ ভবনের কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন সস্ত্রীক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সাক্ষাতকালে তারা বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন, দু’দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারকরণ, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের সম্ভাবনা, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ভিয়েতনাম সফরকালীন ভিয়েতনাম সংসদের আতিথেয়তার প্রশংসা করে স্পিকার বলেন, ভিয়েতনাম বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পূর্বে ১৯৭৩ সালে ভিয়েতনাম বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। আশিয়ানভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ বৃদ্ধিতে ভিয়েতনাম-বাংলাদেশ সরাসরি আকাশপথে যোগাযোগ স্থাপন জরুরি। সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের পারস্পরিক সফর বিনিময় ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে। এসময়, বাংলাদেশ-ভিয়েতনাম আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূতের অব্যাহত সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পৃথিবীতে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন বিস্ময়। তার নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে। সাধারণ মানুষের জীবনমানের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে। তথ্য-প্রযুক্তি, ঔষধ শিল্প ইত্যাদি খাতে ভিয়েতনাম বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারে। এসময়, জলবায়ু পরিবর্তন ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সহযোগিতা কামনা করেন স্পিকার।
বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন বলেন, বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দ্রুত প্রসারমান। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভিয়েতনামের বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। বাংলাদেশ ভিয়েতনাম ফ্রেন্ডশিপ সোসাইটি দুদেশের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে। পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এসময়, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে ভিয়েতনামের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত।
রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন স্পিকারকে ভিয়েতনাম সফরের আমন্ত্রণ জানালে, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকারও রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ভিয়েতনাম ন্যাশনাল এসেম্বলির চেয়ারম্যানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান। এসময়, সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।