সুন্দরী প্রতিযোগিতায় কীভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছেন জানালেন তাপসী

ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে। ২০১০ সালে আসেন অভিনয় জগতে। তার দু’বছর আগে ২০০৮ সালে ভারতের সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তাপসী পান্নু। তখন তিনি ছাত্রী ছিলেন। কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? সুখকর নয় বলেই জানালেন অভিনেত্রী। তাপসীর কথায়, প্রবল পক্ষপাতিত্ব হয়েছিল বাছাই পর্বে। প্রশ্ন উঠেছিল সেখানে তার থাকার যোগ্যতা নিয়ে। চরম অপমানিত হতে হয়েছিল তাকে।

তাপসী জানান, দিল্লি থেকে বেছে নেওয়া তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। তাকে লড়াই করতে হয়েছিল পেশাদার মডেলদের সঙ্গে। তাদের তুলনায় তিনি ছিলেন অপেশাদার, অনভিজ্ঞ। তখনও পর্যন্ত তিনি শুধু ফটোশুট করেছিলেন। টিভির কোনও বিজ্ঞাপনে তার মুখ দেখা যায়নি, র‌্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতাও তার ছিল না।

তাপসী বলেন, “গ্রুমিং পর্বে বুঝেছিলাম, এটা আমি করতে পারব না। আমাদের হাঁটা শেখানো হত, কীভাবে হাসব, তাও শেখানো হত। হেমন্ত ত্রিবেদী তখন ছিলেন শিক্ষক হিসেবে। তিনি বলেছিলেন- আমার হাতে থাকলে কখনওই তুমি প্রথম আঠাশ জনের মধ্যে জায়গা পেতে না।” শুটিং শেষের পার্টির পরে তাপসী বুঝতে পারেন, কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং খারাপ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাকে। নেপথ্যের কাহিনি তুলে ধরে অভিনেত্রী বলেন, “নানা রকম পক্ষপাতিত্বের ঘটনা ঘটত সেখানে। প্রতিযোগীদের নানা চুক্তিতে সই করানো হয়েছিল।

শর্ত ছিল যে, প্রতিযোগীদের উপার্জনের তিরিশ শতাংশ তিন বছরের জন্য অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে।” সেই প্রতিযোগিতা থেকে দু’টি খেতাব পেয়েছিলেন তাপসী। সেরা নতুন মুখের পুরস্কার (মিস ফ্রেশ ফেস) এবং সুন্দর ত্বকের পুরস্কার (মিস বিউটিফুল স্কিন)। ২০১০ সালে তেলেগু ছবি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তাপসী। ২০১৩ সালে ‘চাশমে বাদ্দুর’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় তার। আশির দশকের বিখ্যাত হিন্দি ছবির এই রিমেকটির পরিচালক ছিলেন ডেভিড ধাওয়ান। সূত্র: মানবজমিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *