নাটকীয় এক জয়, ইতিহাস গড়ে ফাইনালে। দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে এমন দিন আর আসেনি। পুরুষরা পারেননি, নারীরা পারলেন। প্রোটিয়া ক্রিকেটে যুক্ত হলো নতুন এক অধ্যায়। ঘুচলো দীর্ঘদিনের আক্ষেপ। শুক্রবার রাতে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ৬ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। পুরুষ কিংবা নারী, বিশ্বকাপে এটি প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো দলের ফাইনালে ওঠার রেকর্ড।
আগের দিন প্রথম সেমিফাইনালে ভারতকে ৫ রানে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেছে অস্ট্রেলিয়া। অর্থাৎ এবারের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শিরোপা লড়াই হবে দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে। কেপটাউনে শুক্রবার টসভাগ্যও সহায় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় প্রোটিয়া মেয়েরা। দুই ওপেনার লরা ভলভার্ট আর তাজমিন ব্রিটস গড়ে দেন চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহের ভিত। লরা ৪৪ বলে ৫৩ আর ব্রিটস ৫৫ বলে খেলেন ৬৮ রানের ইনিংস।
শেষদিকে ১৩ বলে অপরাজিত ২৭ রানের এক ক্যামিও বেরিয়ে আসে মারিজান ক্যাপের উইলো থেকে। ৪ উইকেটে ১৬৪ রানের পুঁজি দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। ইংল্যান্ডের সফি একলেসটন ২২ রান দিয়ে নেন ৩টি উইকেট। ১৬৫ রানের লক্ষ্য। উড়ন্ত সূচনা করেছিলেন ইংলিশ দুই ওপেনার ড্যানি ওয়াট আর সফিয়া ডাঙ্কলে। ৫ ওভারেই তারা তুলে ফেলেন ৫৩ রান। ১৬ বলে ২৮ রানের ঝড় তুলে ফেরেন সফিয়া। ড্যানি ওয়াট করেন ৩০ বলে ৩৪।
এরপর হাল ধরেন নেট স্কিভার-ব্রান্ট আর অধিনায়ক হিদার নাইট। শেষ ৪ ওভারে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ৩৪ রান। ৩৪ বলে ৪০ করে ১৭তম ওভারে আউট হন নেট স্কিভার।পরের ওভারেই ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন আওবোঙ্গা খাকা। ডানহাতি এই পেসার মাত্র ৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট। ১৯তম ওভারে ১২ রান নিয়ে তবু লড়াই টিকিয়ে রেখেছিল ইংলিশরা। শেষ ওভারে দরকার পড়ে ১৩ রান। ছিলেন অধিনায়ক হিদার নাইট। কিন্তু ওই ওভারে মাথা ঠান্ডা রেখে বল করেন সাবনিম ইসমাইল। প্রথম দুই বলে দেন এক রান।
তৃতীয় বলে সেট ব্যাটার নাইটকে (২৫ বলে ৩১) বোল্ড করে স্বাগতিকদের উল্লাসে ভাসান সাবনিম। ২৬ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৫৮ রানে থামে ইংল্যান্ড। শেষ ওভারের নায়ক সাবনিম ২৭ রানে নেন ৩টি উইকেট। ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়া খাকার শিকার ২৯ রানে ৪টি।