নেপালকে হারিয়ে সাফ শুরু বাংলাদেশের মেয়েদের

শুরুটা ছিল ঝড়ের গতিতে। নেপালের সীমানায় বারবার আক্রমণ করে ১৩ মিনিটের মধ্যেই ২ গোল করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। মনে হয়েছিল, বিশাল ব্যবধানের জয় পেতে পারে স্বাগতিকরা। কিন্তু তৃতীয় গোল পেতে ৯০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। মাঝে নেপাল একটি গোল শোধ করলে বাংলাদেশ ৩-১ ব্যবধানে জয় নিয়ে শুরু করেছে ঘরের মাঠের সাফ নারী অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ।

শুক্রবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের নিজেদের প্রথম ম্যাচ জিতে ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেেেছ বাংলাদেশের মেয়েরা। তৃতীয় মিনিটে আকলিমা খাতুনের গোলে লিড নেয় বাংলাদেশ। প্রথম গোলের কম্বিনেশন ছিল সর্বশেষ নারী লিগের দুই সেরা খেলোয়াড় আকলিমা ও শাহেদা আক্তার রিপার।

লিগের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পাওয়া শাহেদা আক্তার রিপার পাস থেকে গোল করেন ২৫ গোল করে লিগের সর্বাধিক গোলের পুরস্কার জেতা আকলিমা খাতুন। ব্যবধান দ্বিগুণ করতে বেশি সময় নেয়নি স্বাগতিক মেয়েরা। ১৩ মিনিটে আফিদা খন্দকারের শট ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন নেপালের ডিফেন্ডাররা। অধিনায়ক শামসুন্নাহার বল ধরে নিখুঁত প্লেসিংয়ে বল পাঠান জালে।

দুই গোল খেয়ে দমে যায়নি নেপালের মেয়েরা। ব্যবধান কমাতে মরিয়া নেপাল সফল হয় ২৪ মিনিটে। কর্নার থেকে আসা বল ঠিক মতো ক্লিয়ার করতে পারেনি বাংলাদেশের ডিফেন্স। বলটি অনেকটা অরক্ষিত জায়গায় দাঁড়িয়ে পেয়ে যান মানমায়া দামাই। তার বাঁ পায়ের শট আশ্রয় নেয় জালে।

৫৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল ছোটনের দলের সামনে। বক্সের বাইরে থেকে আফিা খন্দকারের নেওয়া ফ্রি-কিক পোস্টের কোনা দিয়ে জালে প্রবেশের মুহূর্তে ঠেকান নেপালের গোলরক্ষক কবিতা বিকে।
৮২ মিনিটে একটি সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। ডান দিক থেকে বল নিয়ে ঢুকে গোলমুখে ক্রস ফেলেছিলেন আকলিমা খাতুন। তবে বলের কাছাকাছি কোনো খেলোয়াড় না থাকায় সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিক দলের মেয়েরা।

শেষ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করে বাংলাদেশ। ৯০ মিনিটে শাহেদা আক্তার রিপার শট জড়িয়ে জায় নেপালের জালে। সহজ জয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করে লাল-সবুজ জার্সিধারী মেয়েরা।

বাংলাদেশ একাদশ
রূপনা চাকমা, শামসুন্নাহার (আইরিন খাতুন), নাসরিন আক্তার, সুরমা জান্নাত, আফিদা খন্দকার, সোহাগী কিসকু, স্বপ্না রানী, মাহফুজা খাতুন (উন্নতি খাতুন), শাহেদ আক্তার রিপা, আকলিমা খাতুন (হালিমা) ও ইতি খাতুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *