একলা চলো নীতি অনুসরণ করে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ত্রিপুরা রাজ্যবাসীর ভুল ভাঙলেন রাজনৈতিক দল তিপ্রা মথার প্রধান প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন। কারণ গত ক’দিন ধরে রাজ্য রাজনীতিতে মথাকে নিয়ে জোট প্রসঙ্গ উড়িয়ে দেননি কেউই। অনেকে তো ধরেই নিয়েছিলেন শাসক বিজেপির সঙ্গে জোটে যাচ্ছে তিপ্রা মথা।
বাম কংগ্রেস জোট সুত্রে খবর, শাসক বিজেপিকে হারাতে তিপ্রা মথাকেও পাশে রাখতে আপত্তি নেই তাদের। বহুবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিরজিৎ সিনহাও একপ্রকার প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন মথা সুপ্রিমোকে। কিন্তু বুবাগ্রা’র (প্রদ্যুৎ কিশোর) দাবি মেনে না নিলে কখনোই তার দল জোটে যেতে রাজি নয় বলে বরাবরের মতোই জানিয়ে আসছিলেন।
এই অবস্থায় শাসক বিজেপির কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে গত তিনদিন আগেই দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লিতে ছুটে যান বুবাগ্রা। তার সঙ্গে দলের অন্যান্য নেতারাও ছিলেন। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয় তাদের। কিন্তু বাবাগ্রা তিপ্রাসাদের জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা থেকে কোনো অবস্থাতেই তিনি সরে আসতে পারবেন না বলে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন।
বুবাগ্রার দাবি, তিপ্রাসাদের জন্য তিনি সাংবিধানিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছেন। আর এই দাবি মেনে নিয়ে কেউ যদি তাকে লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়, তবেই তাদের সঙ্গে জোটে যাবেন।
এদিকে দাবি নিয়ে শাসক দলের সঙ্গে কোনো ফয়সালা না হওয়ায় শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে রাজ্যে ফিরে এলেন মথা সুপ্রিমো প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মন। এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি তার মতাদর্শের কথা জানিয়ে একটি পোস্টও করেন। এতেও তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন লিখিত প্রতিশ্রুতি ছাড়া তিনি কোনো অবস্থাতেই জোটে যাচ্ছেন না।
তার আরও বার্তা, প্রতিবারই নির্বাচনের আগে আঞ্চলিক দলগুলোকে ডেকে নিয়ে নানাভাবে বাগে আনার চেষ্টা চালায় তারা। পরে নির্বাচন সম্পন্ন হতেই কথায় আর কাজে মিল থাকে না তাদের। বিগত নির্বাচনেও আইপিএফটি-কে তিপ্রাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দেয় বিজেপি। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর গত পাঁচ বছরে এই প্রতিশ্রুতির কোনো ফল পাওয়া গেলো না।
আর সেই একই ভুলের পুনরাবৃত্তি তিনি চান না বলেও জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, যারা লিখিত প্রতিশ্রুতি দেয়নি, তাদের বিরুদ্ধে মথা সরাসরি নির্বাচনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে। এমনকি শুধু পাহাড়ে নয়, সমতলেও তার দল লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।