ঘরের মাঠে নেমে হার দেখলো মাশরাফির সিলেট

দর্শক সমর্থন ছিল পক্ষে। পয়েন্ট তালিকায়ও এক নম্বর দল হিসেবে অন্য সবার চেয়ে এগিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্স। কিন্তু নিজেদের মাঠে নেমে প্রথম ম্যাচেই হার দেখতে হলো মাশরাফি বিন মর্তুজার দলকে।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্স ৬ উইকেট আর ২৬ বল হাতে রেখে সহজেই হারিয়েছে স্বাগতিকদের। এটি সপ্তম ম্যাচে চতুর্থ জয় রংপুরের। অন্যদিকে অষ্টম ম্যাচে এসে দ্বিতীয় হারের মুখ দেখলো মাশরাফির সিলেট।

টস জেতার পর বোলাররাই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। নুরুল হাসান সোহানের দলের সামনে লক্ষ্য ছিল মোটে ৯৩ রানের। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে নাইম শেখ ২১ বলে ১৮ করে ফেরেন। অষ্টম ওভারের শেষ দুই বলে জোড়া শিকার করেন মাশরাফি। শেখ মেহেদি ৮ আর শোয়েব মালিক ফেরেন গোল্ডেন ডাকে। আজমতউল্লাহ ওমরজাইও ৪ রানের বেশি করতে পারেননি।

তবে ওপেনার রনি তালুকদার দেখেশুনে রান তাড়ায় ছুটেছেন। ৩৮ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১৩ বলে ১ চার আর ২ ছক্কায় হার না মানা ১৮ করেন মোহাম্মদ নওয়াজ। এর আগে ঘরের মাঠে ব্যাটিংয়ে নেমে রীতিমত লজ্জায় পড়েছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ১৮ রানেই হারিয়ে বসেছিল ৭ উইকেট।

সেখান থেকে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেন তরুণ পেস বোলিং অলরাউন্ডার তানজিম হাসান সাকিব। শেষ পর্যন্ত পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ৯২ রান তুলতে পারে স্বাগতিকরা। মাশরাফি আউট হন ২১ বলে ২ ছক্কায় ২১ রান করে। তানজিম সাকিব ৩৬ বলে ৫ চার আর ৩ ছক্কায় করেন ৪১।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রংপুর রাইডার্সের বোলারদের তোপে পড়ে সিলেট। প্রথম সাত ব্যাটারের কেউ দুই অংক ছুঁতে পারেননি। তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান আর মুশফিকুর রহিম তো রানের খাতাই খুলতে পারেননি।

নাজমুল হোসেন শান্ত ৯, টম মুরেস ২, ইমাদ ওয়াসিম ১ আর থিসারা পেরেরা আউট হন শূন্য করে। রংপুরের আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১৭ রানে নেন ৩টি উইকেট। হাসান মাহমুদ নেন ১২ রানে ৩টি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *