রোহিঙ্গা সমস্যা জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে অর্থনৈতিক ঝুঁকিও বাড়াচ্ছে

দিন দিন অস্থির হয়ে উঠছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। কক্সবাজারে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন কয়েকদিন পরপরই। এতে ক্যাম্পে বাড়ছে খুন, ধর্ষণ, অপহরণের মতো ঘটনা। রোহিঙ্গাদের মধ্যে গ্রুপে-গ্রুপে গোলাগুলি, আধিপত্য বিস্তার, মাদক, অস্ত্রসহ নানা সহিংসতা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্যও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এমনকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছেন, এক সময় রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য বিষফোড়া হবে। রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশে শুধু যে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে তা নয়, বেড়েছে অর্থনৈতিক ব্যয় ও অন্য ঝুঁকি। এ অবস্থায় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে (মিয়ানমার) নিরাপদ প্রত্যাবাসনে জোর দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।

গত ১০ ডিসেম্বর কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি হয়। ওই ঘটনায় দুই রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এর কিছুদিন পর ২৬ ডিসেম্বর উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা বা হেড মাঝি মোহাম্মদ হোসেন (৪০) নিহত হন। এরপর ৬ জানুয়ারি উখিয়া বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলিতে মোহাম্মদ নুরুন্নবী (৪০) নামে এক রোহিঙ্গা গুলিবিদ্ধ হন।

পরে তার ঘরে তল্লাশি চালিয়ে একটি গ্রেনেড উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের ভেতরে থেকে ইয়াবা ব্যবসা, নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি, মারামারি করছেন প্রতিনিয়তই। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলা, গোলাগুলি, কাঁটাতারের বেড়া কেটে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে আসছেন তারা। ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প আমাদের জন্য একটা বিষফোড়া হবে কোনো এক সময় কয়েকদিন পর ১৮ জানুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিচ্ছিন্নতাবাদী দুটি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়।

এ সময় গোলাগুলিতে হামিদুল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গা নিহত হন। দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ঘরবাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। এতে পুড়ে যায় প্রায় পাঁচশ ঘর। ফলে দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সংঘর্ষ, খুন, অস্ত্র, মাদক চোরাচালানসহ নানা ধরনের অপরাধ হচ্ছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে একের পর এক হত্যাকাণ্ড, সংঘর্ষ, মাদক চোরাচালানের এমন পরিস্থিতির মধ্যেই গত ১৭ ডিসেম্বর মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই প্রতিবেদনে এইচআরডব্লিউ দাবি করে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নির্বিচারে আটক, চাঁদাবাজি এবং হয়রানি করছে।

প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়, এপিবিএন সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গাদের কাছে ঘুস দাবি করেন। ঘুস না দিলে তাদের নির্যাতন করা হয়। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সন্ত্রাসী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর মাধ্যমে সহিংসতার শিকার হয়ে এরইমধ্যে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে বলেও দাবি করেছে সংস্থাটি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, রোহিঙ্গারা সবকিছু ফেলে এখানে (বাংলাদেশে) চলে এসেছে। যেকোনো প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে তারা যে কোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে। রোহিঙ্গারা ক্যাম্পের ভেতরে থেকে ইয়াবা ব্যবসা, নিজেদের মধ্যে গোলাগুলি, মারামারি করছেন প্রতিনিয়তই। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

বাড়িঘর পুড়িয়ে ফেলা, গোলাগুলি, কাঁটাতারের বেড়া কেটে মিয়ানমার থেকে ইয়াবা নিয়ে আসছেন তারা। ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্প আমাদের জন্য একটা বিষফোড়া হবে কোনো এক সময়। তিনি বলেন, সেখানে (রোহিঙ্গা ক্যাম্পে) এপিবিএন তাদের রুটিন ওয়ার্ক করছে। এপিবিএন নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের প্রতিবেদনে যেসব কথা বলেছে এগুলো তথ্যভিত্তিক নয়। বেশি করে দেখে এসে (যথাযথ তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে) এসব প্রতিবেদন করা উচিত।

এদিকে, হিউম্যান রাইটস ওয়াচের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এপিবিএন প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি ড. হাসান উল হায়দার। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ইউএনএফপি, ইউনিসেফ কাজ করে। তারা আমাদের কাজে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে। যেকোনো বিষয় তারা আমাদের জানায়। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ যেসব বিষয়ে অভিযোগ তুলেছে সে বিষয়ে আমাদের সঙ্গে তারা কখনো কথা বলেনি।

অভিযোগের বিষয়ে আমাদের কাছে জানতে চাইতে পারতো। আমরা ব্যাখ্যা দিতে পারতাম। আমাদের সব ডকুমেন্ট আছে। আমাদের কাছে কিছুই জানতে না চেয়ে এই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে তারা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেয়নি। এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যখনই আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে যাই, তখনই এই ধরনের অপপ্রচার চালানো হয়।

রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের তথ্যমতে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এছাড়া ক্যাম্পগুলোতে প্রতি বছর ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নিচ্ছে। এ হিসাবে ৫ বছরে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয়েছে। ফলে এখন রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১২ লাখের বেশি।

বিশাল এই জনগোষ্ঠীতে আরসা, আল ইয়াকিনসহ অন্তত ১৫টি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন সক্রিয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধী চক্রের নেতৃত্বে চলে মাদক কারবার, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ। এমনকি আধিপত্য বিস্তারে সশস্ত্র মহড়া, অপহরণ, মানবপাচার, সংঘর্ষেও জড়াচ্ছে তারা। পাশাপাশি আধিপত্য বিস্তারের জেরে চলছে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষসহ একের পর এক হত্যাকাণ্ড।

এপিবিএনের তথ্যমতে, ২০২১ ও ২০২২ সালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এক হাজার ১৬৭টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার হন এক হাজার ৬৮৫ রোহিঙ্গা। এগুলোর মধ্যে ৪১টি হত্যা মামলা, ৪০টি অপহরণ মামলা রয়েছে। এছাড়াও ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলায় ১১টি ও ৯৭টি অস্ত্র মামলা। তবে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে মাদক সংক্রান্ত, ৯৭৮টি।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬ বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় ৩০০ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় মামলা হয়েছে ৫ হাজারের অধিক। এসব মামলার বেশিরভাগই হয়েছে মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গারা ২০১৭ সালে আসার পর থেকে যেসব অপরাধে জড়িত ছিল এখনো সেই ধরনের অপরাধ করছেন। রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গ্রুপ রয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারি, সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে।

এমনকি খুন, মাদক, চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত হচ্ছেন অনেক রোহিঙ্গা। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের কারণে তারা নিজেদের জন্যই ঝুঁকি তৈরি করছেন। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভিন্ন এনজিওর তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পে সাধারণ রোহিঙ্গারা নিরাপদে আছেন।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করছে। এছাড়া ক্যাম্পগুলোতে প্রতি বছর ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু জন্ম নিচ্ছে। এ হিসাবে ৫ বছরে প্রায় দেড় লাখ রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয়েছে। ফলে এখন রোহিঙ্গার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১২ লাখের বেশি

রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশে শুধু যে নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে তা নয়, বেড়েছে অর্থনৈতিক ব্যয় ও অন্য ঝুঁকি। ২০২১ সালে জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের হিসাবে দেখা গেছে, ১০ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গার জন্য মোট সহায়তা প্রয়োজন ছিল ৯৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এরমধ্যে ২৬৯ মিলিয়ন ডলারের ঘাটতি ছিল।

অর্থাৎ ২০২১ সালে রোহিঙ্গাদের ভরণপোষণে যে পরিমাণ সহায়তার প্রয়োজন ছিল, দাতাদের (বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা) কাছ থেকে তার থেকে ২৬৯ মিলিয়ন ডলার কম সহায়তা মেলে। প্রতিবছরই ছিল এমন ঘাটতি, যার প্রায় পুরোটাই বহন করতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানের তথ্যমতে, ২০২০ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজন ছিল এক হাজার ৫৮ মিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে পাওয়া গেছে ৬২৯ মিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সালে ৯২০ মিলিয়ন ডলার চাহিদার মধ্যে দাতাদের কাছ থেকে মেলে ৬৯৯ মিলিয়ন ডলার।

এছাড়াও ২০১৮ সালে প্রয়োজন ছিল ৯৫১ মিলিয়ন ডলার। যার মধ্যে ৬৫৫ মিলিয়ন ডলার দেন দাতারা। তার আগের বছর ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৩৪ মিলিয়ন ডলার। ওই বছর ৩১৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা মেলে দাতাদের কাছ থেকে।

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে বেড়েছে খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। এ অবস্থায় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা জোগানো বাংলাদেশের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। কারণ অন্য দেশের বিপুল এ জনগোষ্ঠীর ভরণপোষণে প্রয়োজনীয় অর্থের মাত্র ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ আসে দাতাদের থেকে। ফলে প্রতি বছরই বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের জন্য একটা মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হচ্ছে।

বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা জোগানো বাংলাদেশের জন্য মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। কারণ অন্য দেশের বিপুল এ জনগোষ্ঠীর ভরণপোষণে প্রয়োজনীয় অর্থের মাত্র ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ আসে দাতাদের থেকে। ফলে প্রতি বছরই বাংলাদেশকে রোহিঙ্গাদের জন্য একটা মোটা অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হচ্ছে

বাংলাদেশের ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল রোহিঙ্গাদের জন্য। এরপর থেকে প্রতিবছরই বাজেটে রোহিঙ্গাদের জন্য গড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখে সরকার। এ সমস্যা সমাধানে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনে জোর দিচ্ছে বাংলাদেশ।

তা নাহলে মাদক-অস্ত্র চোরাচালান, সংঘর্ষ, খুন, অপহরণের মাধ্যমে যেমন নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে, একইভাবে পরিবেশ বিপর্যয়সহ অর্থনৈতিক ঝুঁকিও বাড়বে। এমনকি রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও খুনসহ নানা অপরাধের কারণে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা এখন হুমকির মুখে।

রোহিঙ্গা সমস্যায় সৃষ্ট ঝুঁকি ও সংকট সমাধানের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন ও সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার ফারজানা রহমান জাগো নিউজকে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যারা রয়েছেন তারা এমন এক জাতি- যারা বিভিন্নভাবে হতাশার মধ্যে থাকেন।

এর ফলে সাধারণ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিবাদ তৈরি হয়। রোহিঙ্গারা এমন একটি জাতিগোষ্ঠী যাদের কোনো রাষ্ট্র নেই। তাদের নেই কোনো নাগরিকত্ব। এমনকি কোনো দেশ তাদের নিতে রাজিও হয়নি।

তিনি বলেন, একটা জাতি যখন সামাজিক, সাংস্কৃতি ও অর্থনৈতিকভাবে এতো চাপের মধ্যে থাকে- তখন এটা স্বাভাবিক যে তাদের ভেতরে অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যায়। রোহিঙ্গাদের ক্ষেত্রেও আমরা এমনটা দেখছি। তারা বিভিন্ন ধরনের অপরধে যুক্ত হয়ে যাচ্ছেন।

এটা বাংলাদেশের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আমরা যদি এখনই বহির্বিশ্বের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা না করি, তাহলে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার জন্য, নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *