ইসরায়েলের নতুন সরকার বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছে। এর প্রতিবাদে দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। শনিবার (২১ জানুয়ারি) দেশটির তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয় বলে খবর পাওয়া গেছে। কিক্ষোভকারীদের দাবি, নেতানিয়াহু সরকারের পদক্ষেপে দেশের বিচার ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যাবে। খবর আল-জাজিরার।
পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে ইসরায়েলের গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, বিক্ষোভে এক লাখের বেশি মানুষ যোগ দেয়। গত সপ্তাহেও ইসরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করে। এই বিক্ষোভ দেশটির নতুন সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। জানা গেছে, ইসরায়েলের নতুন সরকার দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের যেকোনো সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে ভোটের মাধ্যমে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে প্রস্তাব এনেছে। বিচারক নিয়োগের ক্ষমতাও পার্লামেন্টের হাতে দেওয়ার প্রস্তাব করেছে নেতানিয়াহু সরকার।
বিরোধীদের দাবি, এই প্রস্তাব পাস হলে সুপ্রিম কোর্ট দুর্বল হয়ে পড়বে। ইসরায়েলি বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান আভি চিমি বলেন, তারা আমাদের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে একনায়কতন্ত্রে পরিণত করতে চায়। তারা বিচার বিভাগীয় কর্তৃত্বকে ধ্বংস করতে চায়। বিচার বিভাগীয় কর্তৃত্ব ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক দেশ নেই বলেও জানান তিনি। অন্যদিকে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে ঘুস, আস্থাভঙ্গ ও প্রতারণার তিনটি মামলা চলছে। তবে সব অভিযোগই অস্বীকার করে আসছেন তিনি।