মেট্রোরেল চালুর প্রথম দিন থেকেই ছিল যাত্রীদের ভিড়। ভিড় ঠেলে মেট্রোরেলে চড়তে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হতো। তবে সেই ভিড় এখন আর নেই। যাত্রীরা সরাসরি মেট্রোরেলে চড়তে পারছেন কোনো ধরনের অপেক্ষা ছাড়াই। একই সঙ্গে মেট্রোরেলে যাতায়াত শেষে বিআরটিসি’র বাসে গন্তব্যে যেতে পারছেন যাত্রীরা।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে মেট্রোরেলের আগারগাঁও স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। স্টেশনে কর্তব্যরত এক কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, প্রথমে যে কোনো নতুন জিনিসের প্রতি সবার আগ্রহ থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় মেট্রোরেলেও অনেক আগ্রহ ছিল মানুষের। আসলে মানুষ বিনোদন নিতেই মেট্রোরেলে পরিবার নিয়ে ভ্রমণ করে। কিন্তু এখন সেই চিত্র নেই। যাত্রী সংখ্যা কমে গেছে। ফলে কাউকে আর লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে না।
আগারগাঁওয়ে এলজিইডি ভবনে অফিস সহায়ক হিসেবে কর্মরত শামীম হাওলাদার। তিনি বসবাস করেন উত্তরার মেট্রোরেলের উত্তর স্টেশনের কাছে। শামীম হাওলাদার বলেন, মেট্রোরেল আমার জন্য আশীর্বাদ। মেট্রোরেলের উত্তরা স্টেশন থেকে ১০ মিনিট হাঁটলেই আমার বাসা। এছাড়া আগারগাঁও স্টেশন থেকে পাঁচ মিনিট হাঁটলেই অফিস। আগে কয়েক ঘণ্টা হাতে নিয়ে বের হতে হতো। এখন ৩০ মিনিট হাতে নিয়ে বের হলেই উত্তরা থেকে আগারগাঁও অফিসে আসতে পারি।
এদিকে মেট্রোরেলের যাত্রীদের জন্য আগারগাঁও থেকে ফার্মগেট, শাহবাগ ও মতিঝিল রুটে বিআরটিসির শাটল বাস চলাচল করছে। আগারগাঁও স্টেশন থেকে ফার্মগেটের ভাড়া ১০, শাহবাগ ২০ এবং মতিঝিলের ভাড়া ৩০ টাকা। শাটল বাসে সর্বনিম্ন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা। স্টেশন থেকে ১০ মিনিট পর পর শাটল বাস ছেড়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ৭৫ আসন বিশিষ্ট এসব বাসে ১৫-২০ জন যাত্রী মিলছে। ফলে অনেক আসন ফাঁকা থেকে যাচ্ছে বাসে। এছাড়া ছয়টি বাস যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে।
মেট্রোরেল বাস সার্ভিসের কন্ট্রাক্টর হামিদুল ইসলাম বলেন, শাটল বাসে যাত্রীদের চাপ নেই। যাত্রীর চেয়ে বেশি বাস প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিদিন মেট্রোরেল স্টেশনে ৫-৬টি বাস প্রস্তুত থাকে যাত্রী পরিবহনের জন্য। এর আগে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। পরের দিন ২৯ ডিসেম্বর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয় এটি। ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সংস্থাটি জানিয়েছে, শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল।