চাঁপাইনবাবগঞ্জে তীব্র ঠান্ডায় বিপর্যস্ত জনজীবন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেশ কয়েকদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এতে খেটে খাওয়া দিন মজুর, কৃষি কাজের সাথে জড়িত কৃষকরা ও রিক্সা ভ্যান চালক সহ সাধারণ মানুষ বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত চরাঞ্চলের বাসিন্দারা তীব্র শীতে বেশি কাহিল। এই তীব্র শীতেও জেলা প্রশাসনের কম্বল বিতরণের কার্যক্রম চোখে পড়নি। দ্রুত বড় পরিসরে কম্বল বিতরণের কার্যক্রম শুরুর দাবি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শীতার্ত মানুষদের।

জানা গেছে, গেলো বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে মুষলধারে বৃষ্টি হয়। সেই দিন থেকে উত্তরের এই জেলাতেও শীতের কঠিন তীব্রতা বাড়তে শুরু করে। এই বছরের প্রথম দুদিনই কুয়াশায় সূর্যের দেখা মেলেনি। এছাড়াও গেলো ৪ দিন ধরে কুয়াশার দেখা না গেলেও, সুর্যের দেখা মিলছে না। ঢের বেলা হয়ে সূর্যের দেখা মিললেও, উত্তাপ ছিলনা বললেই চলে। এছাড়াও এই দিন গুলোতে সন্ধ্যা হওয়ার পরপরই বাতাস শুরু হচ্ছে যার ফলেও তাপমাত্রা এদিক ওদিক হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে গেলো কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১২ আর সর্বোচ্চ ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াসের মধ্যে উঠা নামা করছে। গতকাল শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রহমান আলী নামে এক কৃষক বলেন; ভোরে ক্ষেত থেকে শীতকালীন সবজি তুলে, বাজারে বিক্রি করতে আসতে হয়। খুব ঠান্ডা লাগে, মাঠে কাজ করতে অনেক কষ্ট হয়। পেটের দায়ে ঘর থেকে বের হতে হয়। না হলে এত শীতে কেউ ঘর থেকে শখ বের হবে না।

মিলন নামের এক রিকশাচালক বলেন; গত ৪ দিন ধরে কুয়াশা নেই, কিন্তু বাতাস থাকার কারণে খুব ঠান্ডা লাগছে। তাই রিক্সা চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তীব্র ঠান্ডায় মানুষও বাড়ি থেকে বের হয় না, তাই আয় রোজকার নেই। তাই পরিবার চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। চর নারায়ণপুরের বাসিন্দা জমেলা বেগম বলেন; তীব্র শীতে খুব কষ্ট হয়, বাতাস প্রচুর। দিনে কয়েকবার এলাকার লোকজন খড়কুটা সংগ্রহ করে জালিতে আগুন পোহায়। নদী ভাঙনে এলাকার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এখনও কেউ এই এলাকার মানুষকে সাহায্য সহযোগীতা করেনি। জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান বলেন, জেলায় প্রায় ২৪ হাজার কম্বল দেওয়া হয়েছে। ইউএনওরা তাদের মতোন করে বিতরণ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *