বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক জাপানের প্রধানমন্ত্রী

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা আগামী ১৩ জানুয়ারি হোয়াইট হাউজে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) হোয়াইট হাউজের তরফে এই দুই নেতার বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। জানা গেছে, এই দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে উত্তর কোরিয়া, ইউক্রেন, তাইওয়ান ও চীনের উত্তেজনা এবং একটি ‘মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক’ অঞ্চল নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, দুই নেতা ‘ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়ার বেআইনি অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার যুদ্ধ ও তাইওয়ানপ্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখাসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন।’

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ও চীনের আধিপত্য বিস্তার এই অঞ্চলে মার্কিন মিত্রদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। এ ছাড়া তাইওয়ান ইস্যুতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনা তো আছেই। এর মাঝে ওয়াশিংটন ও প্রধান এশীয় অংশীদারের মধ্যে বৈঠকের এ খবর এলো।

জাপানের ইয়োমিউরি সংবাদপত্র গত সপ্তাহে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, ফুমিও কিশিদা টোকিওর নতুন নিরাপত্তা নীতি নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা করছেন। যেখানে গতবছর ডিসেম্বরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাপান সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া প্রদর্শন করেছে।

হোয়াইট হাউজ বলছে, বাইডেন জাপানের সম্প্রতি প্রকাশিত জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করবেন।হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জ্যঁ-পিয়েরে এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নেতারা মার্কিন-জাপান জোটের অভূতপূর্ব সম্পর্ক উদযাপন করবেন এবং সামনের বছর তাদের অংশীদারিত্বের পথ নির্ধারণ করবেন।

গতবছর মে মাসে জাপান সফরে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন জাপানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করার জন্য কিশিদার দৃঢ় সংকল্পের প্রশংসা করেছিলেন। রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসন চীনকে জাপানের প্রতিবেশী স্ব-শাসিত তাইওয়ানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করতে পারে। সেই উদ্বেগের জেরে জাপানের ৩২০ বিলিয়ন ডলার প্রতিরক্ষা পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে চীনে আঘাত হানতে সক্ষম এমন ক্ষেপণাস্ত্র কেনা ও টেকসই প্রতিরোধের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা।

জাপান এ বছর গ্রুপ অব সেভেন সম্মেলনের আয়োজক। এর মধ্যে হিরোশিমাতে আগামী মে মাসে একটি শীর্ষ সম্মেলনও রয়েছে যেখানে বাইডেন যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এই ক্লাবে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও কানাডাও রয়েছে। যেখানে চীন থেকে রাশিয়া এবং তার বাইরেও হুমকি মোকাবেলায় মার্কিন জোটকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য বাইডেনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *