রিনি আর সীমান্ত ভালোবেসে বিয়ে করেছে কয়েক বছর হলো। কাজের প্রয়োজনে সীমান্তকে থাকতে হয় জেলা শহরে এদিকে চাকরি আর বাচ্চার পড়াশোনার জন্য রিনি থাকেন ঢাকায়। প্রতিমাসে আসা হয় না সীমান্তের, রিনিও যেতে পারেন না নিয়মিত। তারপরও তাদের মাঝে চমৎকার ভালোবাসা আর বোঝাপড়া।
কীভাবে সম্ভব!
বিশ্বাস
দূরে থাকলেও দুজনের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস থাকতে হবে। একটি সম্পর্কের মূল স্তম্ভ অবশ্যই বিশ্বাস। আর দুজন যখন দূরে থাকে তখন এটি আরো বেশি প্রয়োজন। সঙ্গীর প্রতি সৎ থাকা, তার বিশ্বাসের মর্যাদা দেয়াই দূরে থেকেও সম্পর্ক অটুট রাখার প্রথম শর্ত।
যোগাযোগ
যেকোনো সম্পর্কে যোগাযোগ হচ্ছে সেতুবন্ধন। প্রিয় মানুষটির সঙ্গে আপনার যোগাযোগ যত বেশি হবে ততোই সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হওয়ার সুযোগই পাবে না।
শুভ সকাল-শুভ রাত্রী
সকালে একটি ছোট্ট মেসেজ, সন্ধ্যায় আরেকটি সুন্দর শুভকামনা দিয়ে কাটুক না দিনগুলো।
ছবি দিন
আজকাল যোগাযোগ অনেক সহজ। চাইলেই প্রিয় মানুষটাকে দেখার সুযোগ রয়েছে। আপনার যেমন তাকে দেখতে ইচ্ছে করে, তারও নিশ্চয় ইচ্ছা করে প্রতিদিনের সাজে আপনাকে কেমন দেখাচ্ছে একটু দেখে নিতে। কী ভাবছেন? সেলফি তুলুন-এখনই সেন্ড করুন।
গুরুত্ব দিন
সঙ্গী দূরে আছেন, সংসারের আর বাইরের সব ঝামেলা আপনাকেই পোহাতে হচ্ছে। বেশ সামলে নিচ্ছেন সব কিছু। তাহলে তাকে আর জানানোর প্রয়োজন কী? এটা কখনোই ভাবা যাবে না। যেকোনো কাজ করার আগে সঙ্গীর পরামর্শ নিন। তিনি নিজেকে আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ মনে করে খুশি থাকবেন, আপনাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেবেন।
শেয়ার করুন
দুজনই গুরুত্বপূর্ণ এবং কম গুরুত্বপূর্ণ সব কিছু শেয়ার করুন…প্রতিদিন। কী হচ্ছে, কী খাচ্ছেন, কোথায় যাচ্ছেন সব জানান। তার দিন কেমন কাটলো এটাও জানতে চান।
ইগো দূরে থাক
অভিমান তো হতেই পারে কোনো কারণে, তবে সম্পর্কের মাঝে কখনো ইগো আসতে দেবেন না। প্রিয় মানুষটিকে আগে স্যরি বললে আপনি ছোট হয়ে যাবেন না। মন খারাপ থাকলে আপনিই না হয় মানিয়ে নিলেন দুই একবার, এরপর সম্পর্ক যখন স্বাভাবিক থাকে তখন তাকে বুঝিয়ে বলুন।
মিস করছেন
সঙ্গীই বুঝে নেবেন যে আপনি তাকে অনেক ভালোবাসেন, মিস করেন। এটা কেন ভাবছেন তাকে বোঝান যে তাকে ছাড়া আপনি অসম্পূর্ণ, জীবনের প্রতিটি পথ আপনি তার সঙ্গেই হাঁটতে চান। এখন কাজের প্রয়োজনে শুধু কিছুটা দূরে থাকতে হচ্ছে, এটা খুবই সাময়িক এজন্য আপনাদের সম্পর্ক একটুও ফিকে হবে না।
উপহার
উপহার পেলে সবাই খুশি হয়। প্রিয় মানুষটি শুধু জন্মদিনে বা বড় কোনো উৎসবে উপহার নয়, যখনই সুযোগ পান তার প্রিয় কোনো কিছু পাঠিয়ে দিন। সারপ্রাইজ দিতে নিজেই না বলে একদিন চলে যান…এর চেয়ে বড় উপহার আর কি হতে পারে!
যখন একসঙ্গে
দীর্ঘদিন বিরতির পর যখন একসঙ্গে থাকার সুযোগ পান। পুরো সময়টি তার জন্য দিন। প্রয়োজনে অফিস থেকে ছুটি নিন, তার পছন্দের খাবার রান্না করুন। তার পছন্দমতো সাজুন, তাকে নিয়ে দুজনের প্রিয় জায়গাগুলোতে ঘুরতে যান, একসাথে মুভি দেখুন, শপিং করুন। প্রতিটি মুহূর্ত আনন্দে ভরে তুলুন।
পরের বেশ কিছু দিনের সুখের সঞ্চয় তো এগুলোই…