বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে নায়িকা নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে করা আদালত অবমাননার অভিযোগটি শুনানির জন্য সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় (কজলিস্টে) রয়েছে। রোববার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে এ বিষয়ে গত ৬ জুন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও সেটি পিছিয়ে নতুন দিন ঠিক করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় শুনানির জন্য তালিকায় উঠে মামলাটি।
এর আগে ২৩ মে শুনানি ৫ জুন পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন আপিল বিভাগ। এর আগে গত ১৪ মার্চ পদে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ ও স্থিতাবস্থার আদেশ কঠোরভাবে মেনে চলতে নিপুণ ও জায়েদকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে চার সপ্তাহের জন্য শুনানি মুলতবি করা হয়। পরে প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ২৫ এপ্রিলে দেওয়া এক আদেশে শুনানি ২৩ মে পর্যন্ত মুলতবি করেন। এমতাবস্থায় নির্ধারিত দিনে মামলাটি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় এলে আদালত শুনানির দিন পিছিয়ে দেন।
গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন হয়, ফল ঘোষণা করা হয় ২৯ জানুয়ারি। এতে ইলিয়াস কাঞ্চন সভাপতি ও জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এর পর থেকেই জায়েদকে বিজয়ী ঘোষণা করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন নিপুণ। নির্বাচনি ফল ঘোষণায় কারচুপির অভিযোগ আনেন নিপুণ। এর পর ওই ফল বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের কাছে আবেদন করেন তিনি। এ আবেদনের ভিত্তিতে গত ২ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ড গঠন করে সমাজসেবা অধিদপ্তর।
ওই আপিল বোর্ড গত ৫ ফেব্রুয়ারি জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।এর পর ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ শপথ নেওয়ার মাধ্যমে সমিতির দায়িত্বে বসেন। এ অবস্থায় হাইকোর্টে রিট করেন জায়েদ খান। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণার সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন ও রুল জারি করেন। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন নিপুণ।