বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের সময়টা খুব ভালো যাচ্ছে না। ২১৫ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় নায়িকার বিরুদ্ধে গতকাল বুধবার অভিযোগপত্র দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। যদিও এ মামলার প্রধান অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখর। ইডির এই চার্জশিটের পরই খারাপ সময়টা কাটিয়ে ওঠার মন্ত্র খুঁজছেন অভিনেত্রী। জ্যাকলিন মনে করেন, তিনি সাহসী। যত বাধাই আসুক, তিনি এগিয়ে যাবেনই! অর্থ কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর পর নিন্দুকেরা বলছেন, নায়িকার নামে চার্জশিট দাখিলের পরই তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের মনের কথা শেয়ার করেছেন। কিন্তু আসল কথাটি রেখেছেন আড়ালে।
ইনস্টাগ্রামে জ্যাকলিন লিখেন, যা কিছু ভালো তা আমার প্রাপ্য। আমি যেমন, সেভাবেই নিজেকে গ্রহণ করেছি। সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি সাহসী। নিজের সব স্বপ্ন পূরণ করবো। আমি পারবোই। অর্থ দুর্নীতি নিয়ে গত বছরই অভিযুক্ত সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে জ্যাকলিনের নাম জড়িয়েছিল। জ্যাকলিনের সঙ্গে সুকেশের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের একটি ছবিও ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেসময় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্ত ছিলেন চন্দ্রশেখর।
ইডির দাবি, চেন্নাইয়ে জ্যাকলিন ও চন্দ্রশেখরের মধ্যে অন্তত চারবার সাক্ষাৎ হয়। বর্তমানে চন্দ্রশেখরের হাতে যে আইফোনটি রয়েছে, সেটি দিয়েই তিনি ইজরায়েলের সিমকার্ডের সাহায্যে প্রতারণা করছিলেন। চন্দ্রশেখরের সঙ্গে দফায় দফায় সাক্ষতের খবরের পর থেকেই ইডির নজরে জ্যাকলিন। গত বছর ডিসেম্বরে মুম্বাই বিমানবন্দরে আটকানো হয় নায়িকাকে। ওই বছরের ৮ ডিসেম্বর তাকে ইডি দপ্তরে তলব করা হয়। সেখানে পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ। অর্থ কেলেঙ্কারি মামলায় জ্যাকলিনের অবৈধ সম্পত্তিও নাকি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর, এর আগে চন্দ্রশেখরের কাছ থেকে নাকি গুচ্চির ব্যাগ, জিমের পোশাক, দামি ব্র্যান্ডের জুতো, দুটি হীরের আংটি, একাধিক ব্রেসলেট পেয়েছিল ইডি। ধারণা করা হয়, প্রতারক চন্দ্রশেখরের সব কুকীর্তি জানা জ্যাকলিলেন। এ থেকে নাকি তার লাভও হতো। আর এজন্যই অর্থ দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয় এই শ্রীলঙ্কান সুন্দরীর বিরুদ্ধে।