অচিরেই আরও এক লাখ টন চিনি আমদানি করা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে চিনি সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তবে একটু বাজার তদারকি করলে চিনির বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আমরা আশাবাদী। রোববার (২৩ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে কে বা কোন সংস্থা, কত দিনের মধ্যে চিনি আমদানি করছে সে তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে একই দিন এক মতবিনিময় সভায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, দেশের মধ্যে গ্যাসের সংকটের প্রভাব পড়েছিল চিনির রিফাইনারিগুলোতে। এতে দেশের পাঁচটি রিফাইনারির উৎপাদন ২০ থেকে ২৫ শতাংশ কমে গিয়েছিল। আমরা সরকারের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলেছি, আজ থেকে সব রিফাইনারিতে পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করা হবে।
এতে আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে বাজারে আগের মতোই চিনির সরবরাহ থাকবে। তবে সরবরাহ কম হলেও দাম বাড়ার কথা না, কেন বাড়লো এ নিয়ে আজ থেকে কঠোর অবস্থান থাকবে আমাদের, চিনিরও সংকট থাকবে না। যার যত চিনি লাগবে সরবরাহ করা হবে।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময়ে তিনি বলেন, আমাদের চাহিদা ১৮ লাখ টন। সব আমদানি নির্ভর। দেশি কারকানায় মাত্র ২৪ হাজার টন উৎপাদন হয়েছে, যেটা খুবই নগণ্য। এলসির মাধ্যমে র ম্যাটেরিয়াল আসছে, এটা রিফাইন করা যাচ্ছে না। আমরা সেখানে উৎপাদন ঠিক রাখতে পারলে সমস্যা থাকবে না। আজ থেকে গ্যাসের সংকট থাকবে না।