লড়াইয়ের শুরুতেই পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে উঠলো। লঙ্কান বোলিংয়ের সামনে তেড়েফুঁড়ে ব্যাট করার চেষ্টা নামিবিয়ার। কিন্তু অভিজ্ঞ লঙ্কান ক্রিকেটাররা তাদের স্কোর করার পথ রূদ্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি দ্রুত উইকেটও তুলে নিচ্ছে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শ্রীলঙ্কাকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন দুষ্মন্তে চামিরা। ৬ বলে ৩ রান করে প্রমোদ মধুশানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মাইকেল ফন লিংগেন। পরের ওভারের একেবারে শেষ বলটি ছিল গুড লেন্থের। ব্যাটার ডিভান লা কুক বলটিকে ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যাটের উপরের কানায় লাগিয়ে দেন। বল উঠে যায় উপরে এবং দাসুন শানাকা ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন। ১৬ রানের মাথায় পড়ে দ্বিতীয় উইকেট।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে শুরু করেছে নামিবিয়ার। ৫ম ওভারে গিয়ে তাদের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান চামিকা করুনারত্নে। তবে নিকোল লফটি ইটনের এই উইকেটটি নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের। বাঁ-হাতে অসাধারণ একটি ক্যাচ ধরেন তিনি উইকেটের পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ১২ বলে ২০ রান করে আউট হন নিকোল লফটি ইটন। ১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মারও ছিল তার ব্যাটে। এ রিপোর্ট লেখার সময় নামিবিয়ার রান ৬.২ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৪৫। ৮ রান নিয়ে ব্যাট করছেন নিকোল লফটি ইটন এবং ২ রান নিয়ে স্টিফেন বার্ড।
নামিবিয়া একাদশ
ডিভান লা কক, মাইকেল ফন লিংগেন, স্টিফেন বার্ড, নিকোল লফটি ইটন, গেরহার্ড এরাসমাস (অধিনায়ক), ইয়ান ফ্রাইলিংক, জোহানেস জোনাথন (জেজে) স্মিট, ডেভিড ওয়াইজ, জ্যান গ্রিন, বার্নার্ড স্কলটজ, বেন শিকোঙ্গো।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
পাথুম নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দানুসকা গুনাথিলাকা, ভানুকা রাজাপাকসে, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুনারত্নে, দুষ্মন্তে চামিরা, প্রামোদ মধুশন, মহেস থিকসানা।