গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। চলমান এ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যে আশ্চর্যজনকভাবে প্রায় ৩০০ বন্দিবিনিময় করেছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। এর মধ্য ১০ জন বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন। অভিযান শুরুর পর থেকে দেশ দুটির মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় বন্দিবিনিময়ের ঘটনা। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিনিময়ের অংশ হিসেবে রাশিয়া ২১৫ ইউক্রেনিয়ানকে মুক্ত করেছে।
এর মধ্যে পাঁচজন কমান্ডারও রয়েছেন। তারা এই বছরের শুরুর দিকে দক্ষিণের বন্দর শহর মারিউপোলে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং মরক্কোসহ বেশ কিছু দেশের যুদ্ধবন্দি রয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে ইউক্রেনে বন্দি হওয়ার পর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল এবং ভাড়াটে হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ইউক্রেন ৫৫ রাশিয়ান, মস্কোপন্থি ইউক্রেনীয় ও ভিক্টর মেদভেদচুককে ফেরত পাঠিয়েছে।
তিনি একটি নিষিদ্ধ রুশপন্থি দলের নেতা, যিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগের মুখোমুখি ছিলেন। জানা গেছে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চুক্তিটি হতে সাহায্য করেছে তুরস্ক। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক ভিডিওবার্তায় বলেছেন, এটি আমাদের দেশ ও সমাজের জন্য স্পষ্ট জয়। তবে প্রধান বিষয় হলো— ২১৫ পরিবার এখন তাদের ভালোবাসার মানুষকে দেখতে পারবে। এ জন্য তিনি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে ধন্যবাদ জানান।