ভয়াবহ দাবদাহে ইউরোপ

জলবায়ু পরিবর্তনের খেসারত দিচ্ছে বিশ্ব। স্মরণকালের ভয়াবহ দাবদাহে বিপর্যস্ত ইউরোপ। যুক্তরাজ্যের আট এলাকায় খরা ঘোষণা করা হয়েছে, তালিকায় আছে আরো দুই অঞ্চল। তীব্র দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে লন্ডনের টেমস, জার্মানির রাইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অনেক নদী। এর ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ইউরোপের জ্বালানি-শস্যসহ অন্যান্য বাণিজ্য।

অর্থনীতিতে ৫ম বৃহত্তম রাষ্ট্র ইউরোপের যুক্তরাজ্যে দীর্ঘ হচ্ছে শুষ্ক অবস্থা। চলতি বছর বেশ কয়েকটি অংশে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি না হওয়ায় আট এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে খরা ঘোষণা দিয়েছে ন্যাশনাল ড্রাউট গ্রুপ। এছাড়া চরম তাপদাহে ইংল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও ওয়েলসে বৃহস্পতিবার থেকে রোববার পর্যন্ত চারদিনের সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়।

জার্মানিতেও কমছে ভূপৃষ্ঠের পানির পরিমাণ, আশঙ্কাজনকহারে কমেছে দেশটির দীর্ঘতম নদী রাইন নদীর পানি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নদী এতোটাই শুকিয়ে গেছে যে, মাত্র ৫ ফুটের মতো পানি সেখানে অবশিষ্ঠ রয়েছে।

গত জুলাই মাস থেকে চরম খরার সম্মুখীন ফ্রান্স। যা ১৯৫৮ সালের পর দেশটিতে সর্বোচ্চ পরিস্থিতি। শুক্রবার ফ্রান্সে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ থেকে ৪১ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত।

ইউরোপের আরেক দেশ ইতালিও কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কবলে পড়েছে। দেশটির বৃহত্তম হ্রদ গার্ডার দক্ষিণ অংশে উদ্বেগজনক হারে কমেছে পানির স্তর। এছাড়া ইতালির উত্তরাঞ্চলে গত কয়েক মাসে হয়নি বৃষ্টিপাত, তুষারপাত কমেছে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত।
ইউরোপের পানিপথ, অঞ্চলটির বাসিন্দাদের জন্য বছরে অন্তত এক টন মালামাল পরিবহন করে। যা সেখানকার অর্থনীতিতে প্রায় আট হাজার কোটি মার্কিন ডলার আয়ে অবদান রাখে। ফলে চলমান খরা পরিস্থিতে হুমকির মুখে রয়েছে ইউরোপের জ্বালানি-শস্যসহ অন্যান্য বাণিজ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *