রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে প্রায় ৪০০ দিন হতে চললো। এখনো লড়াই থামার কোনো লক্ষণ নেই। বরং প্রতিনিয়ত বাড়ছে পারমাণবিক হামলার হুমকি। বিভিন্ন মহল থেকে শান্তি আলোচনার চেষ্টা চালিয়েও কোনো লাভ হয়নি। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি মাত্র একদিনের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারেন। তবে ঠিক কীভাবে এই কাজটি করবেন, তা ব্যাখ্যা করেননি তিনি।
সম্প্রতি ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের শেষ নাগাদ ইউক্রেন যুদ্ধ যদি শেষ না হয় এবং তিনি যদি নির্বাচিত হয়ে ফের হোয়াইট হাউসের ক্ষমতায় যান, তবে মাত্র ‘একদিনের মধ্যে’ শান্তিপ্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও তার নিজের মধ্যে আলোচনা ‘সহজ’ হবে।
পুতিনের সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ রয়েছে বলে দাবি ট্রাম্পের। ছবি সংগৃহীত
আত্মবিশ্বাসী ট্রাম্প বলেন, যদি সমাধান না হয়, আমি জেলেনস্কি ও পুতিনের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর সমাধান করবো। ‘খুব সহজ’ আলোচনা হবে। তবে সেটি কী হবে তা এখনই বলতে চাই না, কারণ তাহলে এটি আমি আর কাজে খাটাতে পারবো না। তিনি বলেন, খুব সহজ একটি আলোচনার জায়গা রয়েছে। আমি একদিনের ভেতর এর সমাধান করবো, তাদের মধ্যে শান্তিপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
তবে গত সোমবারের (২৭ মার্চ) ওই সাক্ষাৎকারে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেছেন, তার সেই শান্তি আলোচনা আগামী দেড় বছরের মধ্যে শুরু হবে না। এটি দীর্ঘ সময়। এর মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, সম্ভাব্য ‘পারমাণবিক বিশ্বযুদ্ধের’ বিষয়েও সতর্ক করেছেন তিনি।
ইউক্রেন যুদ্ধে হতাহত হয়েছেন হাজার হাজার সৈন্য। ছবি সংগৃহীত
পুতিনের সঙ্গে সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প দাবি করেছেন, ২০২০ সালে তিনি পুনর্নির্বাচিত হলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমাদের নির্বাচনের আগে এই বিষয়টির যদি সমাধান না হয়- যা হবেও না, এটি সম্ভব যে, আমরা হয়তো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে থাকবো। এই বোকারা যা করছে তাতে আপনি একটি পারমাণবিক বিশ্বযুদ্ধে গিয়ে পৌঁছাতে পারেন, যার কাছে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে প্যাটি কেকের (ঠুনকো বিষয় বোঝাতে) মতো দেখাবে।
সূত্র: এনডিটিভি