দীর্ঘ ১১ মাস ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ নামে আগ্রাসন শুরু করলে এই যুদ্ধ শুরু হয়। করোনাভাইরাস মহামারীর পরপরই এই যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে দেখা দিয়েছে চরম অর্থনৈতিক অস্থিরতা।
তবে মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, তিনি যদি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে থাকতেন তাহলে একদিনের মধ্যেই এই যুদ্ধ বন্ধ করে দিতেন। তার দাবি, তিনি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না।
বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে কড়া বার্তা দিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন, অবিলম্বে এই যুদ্ধ বন্ধ করুন। সম্প্রতি ফেসবুক ও টুইটারে নিজের প্রোফাইল ফিরে পেয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারপর থেকেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একাধিক টুইট করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার বাইডেনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “একবার যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকে ট্যাংক দিচ্ছে আমেরিকা, এরপর তো দরকার পড়লে পরমাণু অস্ত্রও দেবে। সময় নষ্ট না করে এই বিধ্বংসী যুদ্ধ থামান। খুব সহজেই এই যুদ্ধ বন্ধ করা যেতে পারে।”
রাশিয়ার পক্ষ থেকেও একাধিকবার এই দাবি করে বলা হয়েছে, ইউক্রেনকে অস্ত্র সাহায্য করে প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করছে আমেরিকা। শুক্রবার আরেকটি পোস্ট করেন ট্রাম্প। সরাসরি দাবি করেন, তিনি সুযোগ পেলে একদিনের মধ্যেই এই যুদ্ধ থামিয়ে দিতে পারেন।
ট্রাম্পের দাবি, “আমি যদি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতাম, তাহলে রাশিয়া-ইউক্রেনের বিধ্বংসী যুদ্ধ শুরুই হতো না। এখনও যদি আমাকে প্রেসিডেন্ট পদে বসানো হয়, তাহলে মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। আলাপ আলোচনার মাধ্যমে দুইপক্ষের সহমতে এই যুদ্ধ বন্ধ করে দেব। যেভাবে প্রাণ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ তা মেনে নেওয়া যায় না।”
সূত্র: নিউজ উইক, ইন্ডিপেডেন্ট ইউকে, আল মায়াদিন