২০১৬ সালে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করার পর ১২ বছরের সাজায় দণ্ডিত এক বনদস্যুকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। প্রায় আড়াই বছর জেল খাটার পর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) এই আদেশ দেন।
শুনানিতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গোলাম আব্বাস চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমদ ভুঁইয়া।আত্মসমর্পণকারী ৩২৮ বনদস্যুর তালিকা আদালতে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ, যারা আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ পেয়েছিলেন। ওই তালিকায় দণ্ডিত বনদস্যু মো. আসাদুল ইসলাম ওরফে কোকিলের নাম রয়েছে।
২০১৬ সালে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের চরপুটিয়া নামক স্থানে অভিযান চালায় র্যাব-৮-এর একটি দল। ওই অভিযান চলাকালে ওই বছরের ৩০ মে আত্মসমর্পণ করেন আসাদুল। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি বিদেশি রাইফেল ও গুলি। এ ঘটনায় পরদিন বাগেরহাটের মোংলা থানায় মামলা করে র্যাব।
অস্ত্র আইনে করা এই মামলায় ২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আসাদুলকে ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। অস্ত্র আইনের ১৯ (অ) ধারায় আসামিকে এই সাজা দেন বাগেরহাটের সিনিয়র স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহা. গাজী রহমান।
রায় ঘোষণার সময় পলাতক ছিলেন আসামি। পরে আত্মসমর্পণ করে কারাগার থেকে রায় বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। ওই আবেদনে জারি করা রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় আদালতে জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামি।