শেষ ৪ ওভারে দরকার ৪৮। উইকেট নেই ৬টি। স্বীকৃত ব্যাটারদের সবাই সাজঘরে ফিরে গেছেন। ফরচুন বরিশালের জন্য এই ম্যাচ জেতা প্রায় অসম্ভবই হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এমন জায়গা থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিলেন অলরাউন্ডার করিম জানাত আর বিপিএল অভিষিক্ত সালমান হোসেন। সপ্তম উইকেটে ২১ বলে ৫০ রানের এক জুটি গড়লেন তারা।
করিম জানাত ১২ বলেই ৩ চার আর ২ ছক্কায় খেলেন ৩১ রানের ইনিংস। ১৪ বলে ২ বাউন্ডারি আর ১ ছক্কায় ১৮ করেন সালমান। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে ৩ উইকেট আর ৪ বল হাতে রেখে হারিয়েছে সাকিব আল হাসানের বরিশাল।
এই জয়ে আবারও মাশরাফির সিলেটকে ধরে ফেলেছে বরিশাল (সমান ১২ পয়েন্ট)। লক্ষ্য ছিল ১৬৯ রানের। বরিশালের ব্যাটারদের টপ আর মিডল অর্ডারে এক এনামুল হক বিজয় ছাড়া কেউই সুবিধা করতে পারেননি। বিজয় অনেকটা সময় হাল ধরে ছিলেন। ৫০ বলে ৬টি করে চার-ছক্কায় তিনি খেলেন ৭৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস।
চট্টগ্রামের স্পিনার নিহাদুজ্জামান বল হাতে ঘূর্ণি বিষ ছড়িয়েছেন। ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৪টি উইকেট নেন তিনি। এর আগে আফিফ হোসেন ধ্রুব ২৩ বলে ৩টি চার আর ২টি ছক্কায় খেলেন ৩৭ রানের ঝোড়ো ইনিংস। তারপরও ১৫ ওভার শেষে ১০৮ রান ছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বোর্ডে। ২০ ওভার শেষে সেই রান দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৬৮।
শেষ ৫ ওভারে কুর্তিস ক্যাম্ফারের ব্যাটে চড়ে ৬০ রান যোগ করেছে চট্টগ্রাম। এর মধ্যে ১৯তম ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে ১৬ আর শেষ ওভারে সাকিব আল হাসানের বলে ১৮ রান তোলেন চট্টগ্রামের ব্যাটাররা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিং করতে নামে চট্টগ্রাম। ওপেনার মেহেদি মারুফ (৫) আর ওয়ান ডাউন উম্মুক্ত চাঁদ (১৬) খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও’দাউদ খেলেন ৩৪ বলে ৩৩ রানের ধীর ইনিংস। অধিনায়ক শুভাগতহোম আউট হন ২ করে।
তবে আফিফ শুরু থেকেই মারমুখী ছিলেন। তিনি ফেরার পর দায়িত্ব কাঁধে নেন কুর্তিস ক্যাম্ফার। ২৫ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৪৫ রানে অপরাজিত থাকেন এই আইরিশ। ১৯ বলে একটি করে চার-ছক্কায় হার না মানা ২০ করে ইরফান শুক্কুর। বরিশালের পেসার খালেদ আহমেদ ২৬ রানে নেন ২টি উইকেট। কামরুল রাব্বি ২ উইকেট পেলেও খরচ করেন ৩৮ রান।