সৌদি আরবে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার এক তরুণী। ইতোমধ্যে নির্যাতনের কথা জানিয়ে বাড়িতে করা ভিডিও কল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। মাত্র ২৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিও কলে নির্যাতিতা তরুণীকে বলতে শোনা যায় ‘ও আম্মা আমারে যে মাইর মারে গো আম্মা, আমারে চুলে ধইরা টানে গো আম্মা, আমি মইরা যাইমু গো আম্মা।’ ভুক্তভোগী তরুণী চুনারুঘাট উপজেলার ওসমানপুর গ্রামের মেয়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার একটি এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরবে যান ওই তরুণী। সেখানে যাওয়ার পর থেকেই তিনি সৌদি আরবের দাম্মাম শহরের একটি বাসায় কাজ করছিলেন। সম্প্রতি গত ক’দিন যাবত ওই তরুণীর মালিক তার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। যা সে তার পরিবারকে একাধিকবার ভিডিও কলে জানিয়েছে। একই সাথে তাকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্যও আকুতি জানায় সে। সবশেষ করা ভিডিও কলে দেখা যায়, তার শরীরে বেশ কয়েকটি নির্যাতনের চিহ্ন।
এদিকে, মেয়েকে ফিরে পেতে বাবা হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) আদেশ দিয়েছেন আদালত। স্থানীয় গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, তরুণীর পরিবার অসহায়। পরিবারের অসচ্ছলতা ঘোচাতে দালাল ধরে বিদেশে যায় সে। সেখানে তাঁর ওপর নির্যাতনের বিষয়টি দুঃখজনক। তাকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, মেয়েটির পাঠানো ভিডিওটি আমি দেখেছি। তার পরিবার যদি প্রশাসনের সহযোগিতা চায়, তাহলে পাসপোর্টের নম্বরসহ যাবতীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ম্যাধ্যমে তাকে ফেরানোর চেষ্টা করব।