১ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হবে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি। এ কর্মসূচির মাধ্যমে ১৫ টাকা কেজি দরে সারাদেশে চাল বিক্রি শুরু করবে সরকার। ওএমএস কার্যক্রমের শুরুতে ৫০ লাখ পরিবারের ৪ কোটি মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেবে সরকার। জেলা শহর, পৌরসভা ও সিটি এলাকায় একযোগে এ কর্মসূচি চলবে। বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে এসব কর্মসূচি কাজে আসবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
রোববার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে চাল বিক্রির ঘোষণা দেন।
এ সময় মন্ত্রী বলেন, দেশজুড়ে ২ হাজার ১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে চাল খোলাবাজারে বিক্রি করা হবে। তারা প্রতিদিন দুই টন করে চাল বিক্রি করবেন। আগে একজন ডিলার এক টন করে চাল পেতেন। এবার প্রত্যেক ডিলারকে প্রতিদিন দুই টন করে চাল দেওয়া হবে। মন্ত্রী জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় থাকা ভোক্তারা মাসের হিসাবে ৩০ কেজি চাল পাবেন প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে। এ কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত পরিবার চাল কিনতে পারবেন। চালের দাম নিয়ন্ত্রণে এই মুহূর্তে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী।
সাধন মজুমদার বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর থেকে ওএমএস এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি একসঙ্গে চালু হলে আমি মনে করি, চালের দাম স্থিতিশীল অবস্থায় চলে আসবে। আমাদের সরকারি মজুত আছে, আমরা মানুষের জন্যই মজুত করি। যারা এ চাল নেবেন, তাদের বাজার থেকে আর চাল কিনতে হবে না। সেখানে তো আমরা ভরসা করতেই পারি।’
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ও ওএমএসের চাল বিপণনের ফলে বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন খাদ্যমন্ত্রী।
পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে মাথায় রেখে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু করা হয়। এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে খাদ্য অধিদপ্তর।