মিয়ানমার থেকে ছোড়া দুটি মর্টারশেল বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বান্দরবানের ঘুমধুম এলাকায় পড়ার ঘটনাটি ঢাকা খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি। মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশের সীমান্তে অবিস্ফোরিত মর্টার শেল পড়ার বিষয়টি দুর্ঘটনা নাকি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সেটা খতিয়ে দেখা হবে।
দুর্ঘটনাবশত হলে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হবে। এর আগে সীমান্তে মিয়ানমারের মর্টার শেল পড়েছিল। তখন আমরা প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। এর আগে রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে ৩৪ ও ৩৫ নম্বর সীমান্ত পিলার এলাকায় শেল দুটি পড়ার কথা জানায় পুলিশ। তবে এ সময় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। অনেকে ওই গ্রাম ছেড়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
পুলিশ সুপার তারিকুল সাংবাদিকদের বলেন, মিয়ানমারের দুটি মর্টার শেল জিরো লাইন থেকে বাংলাদেশের আধা কিলোমিটার অভ্যন্তরে ঘুমধুম ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের তুমব্রু সীমান্তে এসে পড়ে। এর মধ্যে একটি উত্তরপাড়া জামে মসজিদের পাশে, অপরটি ওই মসজিদ থেকে ২০০ গজ দূরে এসে পড়েছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা সতর্কাবস্থায় রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মর্টার শেলগুলো আমাদের দিকে টার্গেট করে ছোড়া হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি খুব সম্ভব মিয়ানমারের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সঙ্গে কোনো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর গোলাগুলির কারণে আমাদের সীমান্তে এসে পড়তে পারে।