সহিংসতা-সংঘাতে অনেক দেশে মানবিক যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়েছে

ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সংকট এবং সহিংসতার গভীরতা তুলে ধরেছে বিশ্বব্যাংক। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটে জনসংখ্যার বাড়তি স্থানচ্যুতি, বিদ্যুতের বাড়তি দাম, খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ধাক্কা এবং আরও অনেক কিছু দেখতে পাচ্ছে বিশ্বব্যাংক। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্বব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ওয়াশিংটন ডিসি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বর্তমানে নানা সংকট কোনো একটা সীমানায় সীমাবদ্ধ নেই এটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এই সংকটে বিশ্বব্যাংকের অবস্থান এবং দীর্ঘমেয়াদি কৌশল কী এবং কীভাবে এই চ্যালেঞ্জগুলোর মোকাবিলা করা যায় সেই নিয়ে একটা রূপরেখা তৈরির কথা ভাবছে বিশ্বব্যাংক। সহিংসতা-সংঘাতে অনেক দেশে মানবিক যন্ত্রণা ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানায় বিশ্বব্যাংক। ইউক্রেনে রাশিয়া আগ্রাসনের এক বছর পূর্তিতে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সাউথ সুদান কমিশন ফর রিফিউজি অ্যাফিয়ার্সের ডেপুটি কমিশানর জন ডাবি, ইউক্রেনীয় শরণার্থী লারা।

অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ বলেন, আমরা বিভিন্ন দেশে মানবিক ভোগান্তি দেখেছি। সংঘাত এবং সহিংসতার কারণে অনেক দেশে মানবিক যন্ত্রণা দেখছি। এই সহিংসতা দ্রুত বন্ধ হওয়া দরকার। জন ডাবি বলেন, কোন এলাকা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রবণ এবং এটি সংঘাতের প্রবণতা একই। কারণ আপনি হয় সংঘাতের কারণে বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুত হন। সংঘাত ও জলবায়ুর প্রবণতা থেখে বিশ্বকে রক্ষা করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের অক্সফোর্ডে বসবাসরত ইউক্রেনীয় শরণার্থী লারা বলেন, আমরা জানতাম না কোথায় যেতে হবে। আমরা শুধু জানতাম যে আমি আমার বাচ্চাকে নিয়ে যাচ্ছি, আমি আমার ৭০ বছর বয়সী মাকে নিয়ে যাচ্ছি এবং আমরা সীমান্ত অতিক্রম করছি। এখনও আমরা এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই চলমান সংঘাতের একটা অবসান দরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *