নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত বাংলা দ্বিতীয় পত্র বিষয়ে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল বিস্ফোরণে ১ রোহিঙ্গা যুবক নিহত হওয়ার ঘটনার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ওই বিস্ফোরণে রোহিঙ্গা যুবক বেলাল প্রাণ হারান। আহত হয়েছেন আরো ৫ রোহিঙ্গা।
সীমান্তে উত্তেজনা ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পরীক্ষা কেন্দ্র সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরীজিও এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে সেখানকার এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কক্সবাজার উখিয়া কুতুপালং কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন সজীব জানান, ইতোমধ্যে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের হল সুপার ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাইরুল বশর মুঠোফোনে জানান, আমরা রাতেই প্রশাসনের নির্দেশনা পেয়ে কুতুপালং উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এসেছি পরীক্ষার সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য। আমাদের কেন্দ্রের ৪১৯ জন পরীক্ষার্থী এখানে বাংলা ২য় পত্রের পরীক্ষায় অংশ নেবে।
এর আগে এদিন সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুমের বাইশফাঁড়ি সীমান্তের কাছে মাইন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এক বাংলাদেশি যুবকের পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত এক মাসের ব্যবধানে বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে একাধিকবার মর্টার শেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এমনকি যুদ্ধবিমান থেকে বাংলাদেশে সীমান্ত অভ্যন্তরে বোমা নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। বাংলাদেশ এসব ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে আসছে। পাশাপাশি ওই দেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সতর্ক করা হয়েছে।