যে হারে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যাচ্ছে এটি অব্যাহত থাকলে খুব শিগগিরই আগের মতো রির্জাভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বুধবার সরকারি ক্রয় এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ প্রতি দু‘ মাস অন্তর কমছে। এটি কি কমতেই থাকবে এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন ভালো অবস্থানে আছি।
রফতানি ও রেমিটেন্স বাড়ছে। আমি মনে করি যে হারে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যাচ্ছে এটি অব্যাহত থাকলে খুব শিগগিরই আমরা আগের মতো রির্জাভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে যাবো। ডলারের মূল্য প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, উন্নত বিশ্ব যেভাবে মুদ্রার হার বাজারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছে। আমরাও সেদিকে এগুবো। আগে নিজেরাই ডলারে মূল্য নির্ধারন করে দিতাম। সেভাবেই বেচাকেনা হতো। এখন আমরা নিজেরা চিন্তা ভাবনা করছি উন্নত বিশ্ব এবং আন্তর্জাতিক বাজারে যেভাবে মুদ্রা বাজার চলে আমরা সেভাবে পরিচালনা করবো।
ডলার বা অন্য মুদ্রা দিয়ে বিকল্প উপায়ে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল আমদানির বিষয়ে অগ্রগতি জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, এক দেশের মুদ্রা আরেক দেশে গ্রহণ করতে হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিশেষ করে ডলার ব্যবহার করতে হয়। আমাদের যেটা করতে হবে কারেন্সি কিছু অফ করে রাশিয়াকে একসেপ্ট করাতে হবে। তারা সেটি গ্রহণ করলে আমরা সেটি কাজে লাগাতে পারবো।
বিশ্বের সব দেশই সুদ হার বাড়াচ্ছে, বাংলাদেশে যে অবস্থায় আছে সেটিই কি বহাল রাখতে চাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের ঋণের সুদ হার ৯ এবং আমানতের ৬ শতাংশ কার্যকর করেছি। এটি ভালভাবে চলছে। সুদ হার বাড়িয়ে বা কমিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কঠিন কাজ। এখানে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাজস্বনীতি ও মুদ্রানীতি রয়েছে। এ দুটোকে সমন্বয় করে এ কাজটি করছে বাংলাদেশ।
অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় ও অর্থনৈতিক বিয়ষ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিদেশ থেকে সার ও চাল আমদানি এবং স্থানীয় বাজার থেকে টিসিবির জন্য মসুর ডাল ও ভোজ্যতেলসহ ১৪টি প্রস্তুাব অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় হবে ৩ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।