দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। শুক্রবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু: বাংলাদেশ জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মহানায়ক’- শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, আমরা শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আনছি। শিক্ষাকে জাতির উন্নতি ও আনন্দময় করতে চেষ্টা করছি। শিক্ষা যেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বান্ধব হয় সেই চেষ্টাই করছি। এছাড়া মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ যেন আমরা তৈরি করতে পারি তার জন্য চেষ্টা চলছে।
শিক্ষা ব্যবস্থার এ পরিবর্তনে শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকসহ সমাজের সবার ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ডা. দীপু মনি। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানতে তাকে অনুধাবনের কথা বলেন। পরবর্তী প্রজন্মকে রাজনীতিতে আসার আগে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে মনে ধারণ করতেও বলে তিনি।
দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, একাত্তরের ঘাতক, পঁচাত্তরের ঘাতক ও ২১ আগস্টের ঘাতক এক ও অভিন্ন। আজও তারা আস্ফালন করে আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর জন্য। এজন্য আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে, সজাগ থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে হবে। যেন কোনোভাবেই এরা সফল হতে না পারে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পাবনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য নুরুজ্জামান বিশ্বাস, পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির, বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য ও সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, অ্যাটকোর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু, বাংলাদেশ সরকারি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. নূরজাহান বেগম ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খান।
অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের মাঝে গবেষণা সম্মাননা স্মারক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। অনুষ্ঠানের শুরুতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এর আগে ডা. দীপু মনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবর্ষ স্মারক ‘জনক জ্যোতির্ময়’ ম্যুরালে শ্রদ্ধা জানান।