জিল্লুর রহমান জয় : তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমান থমথমে অবস্থা বিরাজ করায় রাবি এলাকায় রাত ১০টার দিকে সাত প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়। এরআগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থী সাথে সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের ছোড়া টিয়ারসেলের আঘাতে শিক্ষার্থীসহ ২শ’ জন আহত হয়।
এদিকে, রাবির এমন পরিস্থিতির কারণে আগামী ১২ মার্চ রবিবার ও ১৩ মার্চ সোমবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ১৪ মার্চ মঙ্গলবার থেকে ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ চলবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। উপাচার্যের আদেশক্রমে প্রদীপ কুমার পাণ্ডে প্রশাসক জনসংযোগ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এরআগে, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে বাস সুপারভাইজার ও স্থানীয়দের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষ শুরু হয়। ক্যাম্পাসের বিনোদপুর গেটে ২ ঘন্টা ধরে এই সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের সময় বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়িসহ কযেকটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়। ভাংচুর করা হয় পুলিশের গাড়ি, দোকানপাঠ।
অগ্নিসংযোগ করা হয় পুলিশ বক্সে। বিনোদপুর গেটে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ক্যাম্পাসের ভিতরে ইটপাটকেল ছুড়েন কয়েকশত স্থানীয়রা। তাদের ছোঁড়া ইটে আহত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী।
একই সাথে বিনোদপুরে মেসে যাওয়ার পথে স্থানীয়দের আক্রমণের শিকার হন ৭/৮ জন শিক্ষার্থী। এই ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক জানিয়েছিলেন, ‘পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। ‘