জিল্লুর রহমান জয় : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কৃতি শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে শিক্ষার্থীদের হাতে স্বর্ণপদক তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে প্রথম স্থান অর্জনকারী ১০৩ কৃতি শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
তিন ক্যাটাগরিতে এই পদক প্রদান করা হয়। রাবির চারুকলা, প্রকৌশল, বিজনেস স্টাডিজ, বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, জীব ও ভূ-বিজ্ঞান, কৃষি এবং কলা অনুষদের ৯৬ জনকে ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক, অগ্রণী ব্যংক’, প্রদান করা হয়।
দর্শন বিভাগের ৫ জন শিক্ষার্থীকে ‘ড. মমতাজ উদ্দিন আহমদ স্বর্ণপদক’ এবং চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদের ২ জন শিক্ষার্থীকে ‘ডা. এ.কে খান স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়েছে। পদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের কথা বলেছেন সেটির জন্য স্মার্ট নাগরিক হতে হবে। স্মার্ট নাগরিক হওয়ার জন্য প্রয়োজন স্মার্ট শিক্ষা ব্যবস্থা। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অগ্রণী ভূমিকা পারন করতে হবে। তাই প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে। যেটি বিশ্বের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কয়েক বছর পর পর আবার পরিবর্তন হবে।’
তনি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা এ যুগের জন্য অচল। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে যে শিক্ষার্থী তৈরি হবে সেই শিক্ষার্থী যেন এই যুগে চলতে পারে, ভবিষ্যতে চলতে পারে এবং সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে। আর সেটি করতে হলে তাকে শুধু জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে চলবে না। জ্ঞানের সঙ্গে দক্ষতাও অর্জন করতে হবে। তাকে মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হতে হবে। তার সৃজনশীলতা থাকতে হবে। তার যোগাযোগের দক্ষতা, সুক্ষ্ম চিন্তার দক্ষতা, সমস্যা নিরূপন করার দক্ষতা, একসঙ্গে কাজ করার দক্ষতা অর্জন না করলে আমাদের শিক্ষার্থী এই বিশ্বে অচল প্রমাণিত হবে। আর এই অচল নাগরিক দিয়ে আমাদের সোনার বাংলা হবে না।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। এসময় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যদ্বয় অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম ও অধ্যাপক হুমায়ুন কবির এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুরশেদুল কবির। এছাড়া বিভিন্ন অনুষদের অধিকর্তা, বিভাগীয় প্রধান এবং পদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।