বিএনপির রংপুর বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দিতে মাঠে আসতে শুরু করেছেন নেতাকর্মীরা। সমাবেশের একদিন আগেই শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) সকাল থেকে দলে দলে বিভাগের বিভিন্ন এলাকা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রংপুরের কালেক্টরেট মাঠ পূর্ণ হতে থাকে। রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির ডাকা পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে বিকল্প উপায়ে পায়ে হেঁটে, ট্রেনে, অটোরিকশায় যে যেভাবে পারছেন সমাবেশের মাঠে এসে উপস্থিত হচ্ছেন।
রাতেই পুরো মাঠ ভরে যাবে বলে মনে করছেন শীর্ষ নেতারা। দিনাজপুরের বিরল পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মাইদুল ইসলাম জানান, ট্রেনযোগে তিনি সকালে রওনা দেন। বিকেল ৩টার দিকে ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে সমাবেশ মাঠে পৌঁছান। সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার আব্দুল কাদের জানান, বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাতেই তাদের ৫০ জনের একটি দল এসে পৌঁছায়। সমাবেশ শেষে তারা ফিরবেন।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক মোজাম্মেল হক জানান, তারা ফুলবাড়ী থেকে পাঁচ হাজার নেতাকর্মী বিভিন্ন উপায়ে শুক্রবার দুপুরে সমাবেশ মাঠে পৌঁছান। আরও নেতাকর্মী আসবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান শামু বলেন, ‘বুধবার রাত থেকেই নেতাকর্মীরা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা মাঠে আসতে শুরু করেছেন। আজ রাতের মধ্যে কালেক্টরেট মাঠ পরিপূর্ণ হয়ে যাবে।’
এদিকে রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতাদের সাঁটানো বিলবোর্ডের ওপর বিএনপির গণসমাবেশের বিলবোর্ড সাঁটানোর ঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় বিএনপির সাঁটানো বিলবোর্ড অপসারণে আলটিমেটাম দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। একই সঙ্গে, রংপুরে বিএনপি কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।
শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর মহানগরীর বেতপট্টিতে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি। তিনি বলেন, আমরা চাই বিএনপির গণসমাবেশ শান্তিপূর্ণ হোক। কিন্তু বিএনপির লোকেরা পায়ে পা রেখে উসকানিমূলক পরিবেশ সৃষ্টির পায়তারা করছে। এমন করলে তাদের কোনো ছাড়া দেওয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খেয়াল করছি, নগরীর বিভিন্ন মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিসহ সরকারের উন্নয়ন কার্মকাণ্ডের প্রচারণা সম্বলিত আওয়ামী লীগের সাঁটানো বিলবোর্ডের ওপর বিএনপির নেতারা তাদের গণসমাবেশের বিলবোর্ড সাঁটিয়েছেন। এটা অন্যায় এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত কাজ।’ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুপুরের পর বিএনপির পক্ষে বিলবোর্ডে সাঁটানো পোস্টার অপসারণ করা হয়েছে।