বিপিএলেও নিজের হাতের ক্যারিশমা দেখিয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ম্যাশ ঝরে বিধ্বংসী মোহামেডান, ৮০ রানে প্যাকেট। বল হাতে ছিলেন বিধ্বংসীরূপে। শুধু তাই নয়, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে এসেও সেই বিধ্বংসী রূপ ধরে রেখেছেন। আগের ম্যাচেই শাইনপুকুরের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। এবার মোহামেডানকে পেয়ে যেন নিজের সেই তরুণ বয়সের রুদ্ররূপ তুলে ধরেছেন। একাই নিলেন ৫টি উইকেট। ৮.৪ ওভার বল করে ৩ মেডেন এবং মাত্র ১৭ রান দিয়ে এই ৫টি উইকেট দখল করলেন তিনি। মাশরাফির আগুনে বোলিংয়ের সামনে মাত্র ৮০ রানেই অলআউট হয়ে গেছে মোহামেডান।
৫০ ওভারের ম্যাচে মোহামেডান খেলেছে কেবল ২২.৪ ওভার। এক সৌম্য সরকার ছাড়া আর কোনো ব্যাটারই লড়াই করতে পারেননি। তিনি করেছেন সর্বোচ্চ ৪১ রান। দুই অংকের ঘর স্পর্শ করেছেন আরেকজন ব্যাটার। ইমরুল কায়েস। তিনি করেছেন কেবল ১১ রান। বলাই যায়, মোহামেডানের শনির দশা কাটছে না মোটেও। বরং ঘনিভূত হচ্ছে। আগের ৪ ম্যাচের তিনটিতে হার মানতে হয়েছে (অপরটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত)। সাদা কালো শিবির আজ সোমবার বিকেএসপিতে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জের কাছে অলআউট হলো মাত্র ৮০ রানে।
দেশের ক্রিকেটের সব সময়ের সফল অধিনায়ক ও শীর্ষ তারকা মাশরাফি বিন মর্তুজা এবারের প্রিমিয়ার লিগে নিজের সেরা বোলিং স্পেলটি উপহার দিয়েছেন। মাশরাফির আগুন ঝড়ানো বোলিং তোড়ের মুখে মোহামেডান তিন অঙ্ক থেকে ২০ রান দুরে থাকতে অলআউট হয়েছে তারা। ভারতীয় জেন্টাল মিডিয়াম পেসার চেরাগ জানি মাহিদুল ইসলাম অংকনকে ফিরিয়ে মোহামেডানকে প্রথমে চাপে ফেলেন। কিন্তু আসল ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয় মাশরাফির বোলিংয়ে আসার পর। তার বলে প্রথমে ফিরে যান মোহামেডান অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (১১)।
এরপর ভারতীয় রিক্রুট অনুষ্টুপ মজুমদার (৭) এর উইকেট জমা পড়ে প্রথম ৬ ওভারে। পরের তিন উইকেট চোখের পলকে নিয়ে নেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ অধিনায়ক। শুভাগত হোম (৩), এনামুল জুনিয়র (০) ও খালেদ (৪) ফিরে যান তার পেস ভেলকিতে। শুধু ৫ উইকেট নেয়াই নয়, দুটি দৃষ্টি নন্দন ক্যাচও ধরেন মাশরাফি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এবং কামরুল ইসলাম রাব্বির ক্যাচ তালুবন্দী করেন তিনি।
মোহামেডানের হয়ে একজন মাত্র ব্যাটার রান করেন। তিনি সৌম্য সরকার। ওয়ানডাউনে নেমে ২৬ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৪১ রান করেন বাঁ-হাতি সৌম্য। আারেক বাঁহাতি ইমরুলও দু’অংকে পৌঁছান। আর কেউ দু’অংকে পা রাখতে পারেননি। মাশরাফি ৫ উইকেট ছাড়াও লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চিরাগ জানি ও নাইম ইসলাম জুনিয়র ২টি করে উইকেটের পতন ঘটিয়ে মোহামেডানকে এবারের লিগে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কম রানে অলআউটের লজ্জায় ডোবা