খাদ্য ও নিত্যপণ্য দাম বাড়ার দৌড়ে এবার সামিল ডিম। রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় এক হালি বাদামি রঙা মুরগির ডিম কিনতে গুণতে হচ্ছে ৫০ টাকা।
অর্থাৎ, একটি ডিমের দাম পড়ছে সাড়ে ১২ টাকা। আর ডজন হিসাবে কিনতে গেলে দিতে হচ্ছে ১৪৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। প্যাকেটজাত ডিমের দাম আরও বেশি।
২০০৯-১০ সালে ডিমের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল। কারণ ছিল বার্ড ফ্লু। বর্তমানে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে খামারিরা বলছেন, পোল্ট্রফিড ও পরিবহন খরচ অনেক বেড়েছে।
খামারিরা জানান, মুরগির খাবারের দাম এতটা বেশি যে ব্যয় সামলাতে না পেরে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চাহিদার বিপরীতে উৎপাদনও কমে গেছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশে ভুট্টা আমদানি কমেছে। এতে দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কেজি এখন ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা।
সয়াবিন মিলের (সয়াবিনের খইল) দাম কেজিতে ৩২ থেকে বেড়ে ৬২ টাকা হয়েছে। এখন আবার ট্রাক ভাড়াও বেড়েছে।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) ঢাকার কারওয়ান বাজারে ফার্মের মুরগির বাদামি ডিমের হালি প্রতি দর চাওয়া হয় ৪৭ টাকা। হাঁসের ডিমের দাম আরও বেশি। বাজার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা হালি।
২০০৮-০৯ সালে মুরগির ডিমের হালির গড় দাম ছিল ২৭ টাকার আশপাশে। সবশেষ গত জুলাইয়ে দাম ছিলো ৪০ টাকার কিছু কম।