আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। ওপেকের উৎপাদন কামানোর সম্ভাবনা ও লিবিয়ায় সংঘাতের ফলে সোমবার (২৯ আগস্ট) তেলের দামে প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া মার্কিন ডলারের মূল্য বেড়ে ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে। সোমবার ছয়টার দিকে দেখা যায়, ব্যারেলপ্রতি ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ১৩ সেন্ট বা শূন্য দশমিক এক শতাংশ বেড়ে ১০১ দশমিক ১২ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
গত সপ্তাহে এটির মূল্য বাড়ে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। তাছাড়া ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ১০ সেন্ট বা শূন্য দশমিক এক শতাংশ বেড়ে ৯৩ দশমিক ১৬ ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত সপ্তাহে এটির দাম ২ দশমিক ৫ শতাংশ বাড়ে। পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংস্থার (ওপেক) শীর্ষ উৎপাদক সৌদি আরব। গত সপ্তাহে দেশটি উৎপাদন হ্রাসের সম্ভাবনার কথা জানায়। কারণ পারমাণবিক ইস্যুতে ইতিবাচক আলোচনা হলে ইরান উৎপাদন বাড়াতে পারে।
রেলিগার ব্রোকিং-এর পণ্য গবেষণার ভাইস প্রেসিডেন্ট সুগন্ধা সচদেভা বলেছেন, ইরানের পরমাণু চুক্তির পুনরুজ্জীবনের প্রতিক্রিয়ায় বাজারের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করার জন্য ওপেক ও তার মিত্ররা উৎপাদন কমাতে পারে। তাই তেলের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর মূলত জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যায়। মার্চে ব্রেন্ট ক্রুডের দম বেড়ে ১৪৭ ডলারের দাঁড়ায়। মাঝখানে তেলের দাম ১০০ ডলারের নিচে নামলেও গত সপ্তাহ থেকে বাড়তে শুরু করছে।