বার্সার সঙ্গে ব্যবধান কমানোর সুযোগ হারালো রিয়াল

আগেরদিনই রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ৬ পয়েন্টের ব্যবধান গড়ে নিয়েছিলো বার্সেলোনা। জিরোনাকে ১-০ গোলে হারানোর পর বার্সা যখন এই ব্যবধান গড়লো, তখন তাদের নামের পাশে লেখা ছিল একটি ম্যাচ বেশি। অর্থ্যাৎ, পরের ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ জিতলেই সেই ব্যবধান নেমে দাঁড়াবে ৩-এ।

কিন্তু এই ব্যবধান কমাতে সক্ষম হলো না লজ ব্লাঙ্কোজরা। ঘরের মাঠে রিয়াল সোসিয়েদাদকে পেয়েও পূর্ণ তিন পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি তারা। উল্টো গোলশূন্য ড্র করে হারালো মূল্যবান ২টি পয়েন্ট। মাত্র ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।

দুর্ভাগ্যই বলতে হবে রিয়াল মাদ্রিদের জন্য। কারণ, ২০ বার রিয়াল সোসিয়েদাদের গোলমুখে শট নিয়েছিলো তারা। কিন্তু একটি শটও জালে প্রবেশ করাতে পারেনি। সোসিয়েদাদের সলিড ডিফেন্স বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলো রিয়ালের সামনে। যে কয়টি শট ডিফেন্স ভেদ করেছিলো, সেগুলোও ফিরে আসে গোলরক্ষক আলেক্স রেমিরোর কাছ থেকে।

মাদ্রিদ ডিফেন্ডার নাচো ম্যাচের পর বলেন, ‘এটা ছিল দারুণ একটি খোল। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ। আমরা খুব ভালো কিছু সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু গোল করতে পারিনি। ড্র অবশ্যই একটি লজ্জা। গোলরক্ষক রেমিরো এবং রিয়াল সোসিয়েদাদের জন্য অবশ্যই দুর্দান্ত একটি মৌসুম কাটছে এবার।’

ভিনিসিয়ুস জুনিয়র দুই অর্ধে খুব কাছ থেকে গোল করার দুটি সুযোগ পেয়েছিলেন; কিন্তু একবারও জাল খুঁজে পাননি। দু’বারই তাকে ব্যর্থ করেন দেন গোলরক্ষক রেমিরো। রিয়াল সোসিয়েদাদ গোলরক্ষক থামিয়ে দিয়েছেন করিম বেনজেমা, টনি ক্রুস এবং রদ্রিগোর দুর্দান্ত কয়েকটি প্রচেষ্টাকেও।

ম্যাচের পর রেমিরো বলেন, ‘আমি খুবই খুশি যে, একটি পয়েন্ট পেয়েছি আমরা। বিশেষ করে আমি যেভাবে খেলতে পেরেছি, সে জন্যও খুশি।’ ১৮ ম্যাচ শেষে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে সবার শীর্ষে বার্সেলোনা। ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে রিয়াল সোসিয়েদাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *