ফ্রান্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় মার্সেই শহরের একটি চারতলা ভবন ধসে পড়ে পাঁচজন আহত হয়েছে। রোববার (৯ এপ্রিল) রাত ১২টা ৪০ মিনিটের পর হঠাৎ করে বিকট শব্দ হয়ে ভবনটি ধসে পড়ে। ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স২৪ জানায়, ধসে পড়ার পর ভবনটিতে আগুন জ্বলতে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে ভবনটির নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারকাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। তবে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনটির আশপাশের ভবনে বসবাসরত পাঁচজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।
মার্সেইয়ের মেয়র বেনো পায়ান বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনটির নিচে চাপা পড়া ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। জানা যায়, ধুলার কারণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত উদ্ধারকারীদের শ্বাস-প্রশ্বাসে বেশ সমস্যা হচ্ছিল। তাছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ ও উদ্ধারকাজে বিঘ্ন এড়াতে নির্দিষ্ট এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মার্সেই মেরিন ফায়ার ফাইটার্স কমান্ডার লিওনেল ম্যাথিও বলেন, ভবনে ছড়িয়ে পড়া আগুনের উত্তাপ এতটাই বেশি ছিল যে উদ্ধারকারী কুকুরকেও সেখানে পাঠানো যাচ্ছিল না। তবে আমরা উদ্ধার অভিযানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ওই ভবনের ভেতর ঠিক কতজন মানুষ ছিলেন, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বড় বিস্ফোরণ হওয়ায় আশপাশের ভবনগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। তাই বর্তমানে আশেপাশের বাসিন্দাদের সরানোর কাজ চলছে।
ওই এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী বলেন, বিকট শব্দের সঙ্গে সবকিছু কেঁপেও উঠেছিল। ভয়ে আমরা সবাই বাড়ি থেকে বাইরে বেরিয়ে আসি। দেখি, আমাদের পাশের ভবনটিই মাটিতে মিশে গেছে। ফ্রান্স২৪ আরও জানায়, আশেপাশের বিল্ডিংগুলোর অন্তত ৩০ জনেরও বেশি বাসিন্দা এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘর হারানো ব্যক্তিরা স্থানীয় স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
আঞ্চলিক প্রিফেক্ট ক্রিস্টোফ মিরমান্ড এএফপিকে বলেন, কোনো বিস্ফোরণের কারণে ভয়াবহ এ ঘটনা ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস লিক থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে মার্সেইতে আরেকটি বড় ভবন ধসে পড়েছিল। সে ঘটনায় আটজন নিহত হন।
সূত্র: ফ্রান্স২৪