ফরিদপুরে এই প্রথম সদর থানার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটীলক্ষীপুর নদীর পাড় এলাকায় একই পরিবারের ৫ সদস্য একসাথে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। গত শুক্রবার ধর্মান্তরিত পরিবারে প্রধান ঘোষণাকারী বর্তমানে মোসা. রাবেয়া বেগম (সাধনা রানী) এ তথ্য নিশ্চিত করেন। সর্বশেষ ঐ পরিবারের ৪র্থ সন্তান মো. সেখ আফিফের (অজয় কুমার মালো) সুন্নতে খাৎনা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ধর্মান্তরের বিষয়টি পুরো এলাকাবাসীকে জানান দেন তারা।
এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি, ফরিদপুর জজকোর্টে নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে সনাতনধর্ম ত্যাগ করে, একই পরিবারের ৫ সদস্য মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেন। এরা হলেন, পূর্বের নাম ১, সাধনা রানীর পরিবর্তে মোসা. রাবেয়া বেগম, জয় মালোর পরিবর্তে মো. সেখ সাদ, বিজয় কুমার মালোর পরিবর্তে মো. সেখ ইব্রাহিম, অজয় কুমার মালোর পরিবর্তে মো. সেখ আফিফ, অমৃতার পরিবর্তে ফাতিমাতুজ জোহরা।
উল্লেখ্য, সাধনা রানী বর্তমানে মোসা, রাবেয়া বেগম ছিলেন ঐ এলাকার সুনীল মালোর মেয়ে এবং অশ্বান চন্দ্র মালোর স্ত্রী। রাবেয়া জানান, আমরা যে এলাকায় বসবাস করি সে এলাকার মুসলমানরা খুবই ভাল ও দয়াবান। দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের সমাজে মিলে মিশে বুঝতে পারলাম ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। এই ধর্ম সম্পর্কে জেনে শুনে আমরা স্বইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহন করি।
এ ছাড়াও আমার পরিবারের সদস্য বর্তমানে সেখ সাদ (জয় মালো) স্থানীয় মুসুল্লিদের সাথে ইসলাম ধর্মে কি আছে এটা জানতে বুঝতে চল্লিশ দিনের চিল্লা দিয়ে এসে এখন ৫ ওয়াক্ত নামাজি হয়ে গেছে। তার কাছে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জেনে শুনে আমরা সিদ্বান্তে আরো আগ্রহী হয়ে পড়ি। পরে সকলে নবীর কালেমা পড়ে প্রথম মুসলমান হই এবং নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আমরা সকলে এফিডেভিট করি।
ফরিদপুর পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কমিশনার মো. আফছার মন্ডল বলেন, বিষয়টি শুনে খুশী হয়েছি। এক সাথে একই পরিবারে ৫ জন মুসলমান হয়েছে। ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. লিটন ঢালীর বলেন, বিষয়টি শুনে ভাল লাগলো, আমিও অবগত হয়েছি। সূত্র: ইনকিলাব