সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের ফল আজ বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরের পর প্রকাশিত হবে৷ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ৩২ হাজারের কথা বলা হলেও শূন্য পদ বাড়িয়ে মোট ৩৭ হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই) সূত্রে জানা যায়, মাঝে একবার সহকারী শিক্ষকের পদসংখ্যা বাড়িয়ে ৪৫ হাজার শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পরে এ সংখ্যা কমিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখিত ৩২ হাজার ৫৭৭টি পদে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। সে কারণে নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করা প্রার্থীরা আন্দোলনে নামে।
দফায় দফায় তারা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও করে আন্দোলন চালিয়ে যায়। পরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে সব শূন্য পদে নিয়োগ দিতে বলা হয়। তার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় শিক্ষক নিয়োগের জন্য পদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফলাফল প্রকাশের সময় পিছিয়ে দেয়। সর্বশেষ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৩২ হাজার ৫৭৭ টি পদের সঙ্গে আরও পাঁচ হাজার যুক্ত করে ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯-এর ৮ ধারার ২ নম্বর উপধারার (ঘ)-তে বলা হয়েছে, নির্ধারিত কোটার শিক্ষকদের মধ্যে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে (নারী ৬০ শতাংশ, পোষ্য ২০ শতাংশ ও অবশিষ্ট পুরুষ) অবশ্যই ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তবে শর্ত থাকে, এভাবে ২০ শতাংশ কোটা পূরণ না হলে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া যাবে।
জানা গেছে, এ নিয়োগে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা তিন ধাপে নেওয়া হলেও চূড়ান্ত ফল একবারেই প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ৪০ হাজার ৮৬২ জন, দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৫৯৫ এবং তৃতীয় ধাপে ৫৭ হাজার ৩৬৮ জন। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্য পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। এ নিয়োগ পরীক্ষায় মোট আবেদন করেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন প্রার্থী।