দেশের বৃহত্তম পাইকারি কাপড়ের বাজার বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বহু দোকান ও মালামাল। মঙ্গলবার সকালে লাগা এই আগুন এক পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গ ইসলামীয়া সুপার মার্কেটে। আগুনে পুড়ে যায় মার্কেটের বেশিরভাগ দোকানের মালামাল। ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর পর পুড়ে যাওয়া মালামাল বাইরে ফেলে রাখা হয়। সেখান থেকে মোটামুটি ‘ভালো কাপড়’ খুঁজে বের করে নিচ্ছেন ছিন্নমূল মানুষেরা।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণার পর বিকেলে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা যায়। সেখানে রাব্বি নামের এক পথশিশু একটি আধা পোড়া বস্তা থেকে কাপড় খুঁজছিল। তাকে জিজ্ঞেস করার পর বলে, কয়েকটা কাপড় পাইছি। প্যান্ট, থ্রি-পিস আছে। খুঁজতাছি, দেহি আরও পাই কি না।
পোড়া কাপড়ের স্তূপ থেকে প্যান্ট খুঁজে বের করতে দেখা যায় শিশু রাব্বিকে। এসব প্যান্ট তার মাপ মতো হবে কি না জানতে চাইলে সে বলে, ভাই না অইলে নাই। পাইলে অনেক কিছুই করা যাইবো। সুরমা নামের অন্য এক কিশোরী জানান, (কাপড়) অনেকগুলা পাইছি। ভেজা, ছাই লাগা। ধুইলে পড়া যাইবো। আমার, বোনের আর আম্মার জন্য হইয়া যাইবো। জিনিয়া নামের এক পথশিশু বলেন, আমার বস্তা ভরে ফেলছি।
তখন ছিন্নমূল মানুষদের কাপড় সংগ্রহ করা দেখে বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা অনেকটা হতাশা নিয়ে বলতে থাকেন, আমাদের দুনিয়া শেষ, তোগো দুনিয়া শুরু। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কেটের আশপাশ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সের ছিন্নমূল মানুষেরা আধা পোড়া কাপড়ের স্তূপ থেকে কিছু কিছু ভালো কাপড় খুঁজে বের করছেন।
স্তূপের নিচে ও মাঝে তারা আবার কিছু ভালো কাপড় পেয়ে যাচ্ছেন। কাপড়ে কোনো পোড়া অংশ পেলে সেগুলো না নিয়ে অপেক্ষাকৃত ভালো কাপড়টাই নিচ্ছেন। নিজেদের পরিধেয় কাপড়ের ধরনের বাইরের কাপড়ের স্তূপেও তাদের কাপড় খুঁজতে দেখা যায়।