মেসি-নেইমার-এমবাপে; আক্রমণভাগে যাদের এমন তিন ফুটবলার আছে, তাদের আর দুশ্চিন্তা কী! তবে ইসরাইলের মাঠে খেলতে গিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। চ্যাম্পিয়নস লিগের লড়াইয়ে বুধবার রাতে শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল ক্রিস্টোফে গাল্টিয়ের দল। সেখান থেকে ওই তারকাত্রয়ীই এনে দিয়েছেন বড় জয়। ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে ইসরাইলের ক্লাব ম্যাকাবি হাইফাকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি।
জারুন শিরির গোলে পিছিয়ে পড়ার পর মেসির রেকর্ড গড়া গোলে সমতা ফেরায় পিএসজি। পরে আর্জেন্টাইন খুদেরাজের পাস থেকেই এমবাপের গোলে এগিয়ে যায় দলটি। শেষ দিকে জালের দেখা পান নেইমারও। ম্যাচে বলতে গেলে সমান তালে লড়েছে হাইফা। ৪৪ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের জন্য ১৩টি শট নেয় স্বাগতিকরা, যার পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে পিএসজির ১৬ শটের ছয়টি ছিল লক্ষ্যে, এর তিনটিতে হয়েছে গোল। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে উঠা ম্যাচে ২৪ মিনিটে এগিয়ে যায় হাইফা। ডোলেভ হাজিজিয়ার দুর্দান্ত ক্রসে জারুন শিরির ভলি জড়ায় জালে (১-০)।
৩৭ মিনিটে মেসির গোলে সমতায় ফেরে পিএসজি। এমবাপের পাস হাইফার ডিফেন্ডার ডিলান বাতুবিনসিকার পায়ে লেগে যায় মেসির কাছে। বাঁ পায়ের আড়াআড়ি শটে জাল কাঁপান রেকর্ড সাতবারের ব্যালন ডি’ অর জয়ী তারকা (১-১)। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি মেসির ১২৬তম গোল। সঙ্গে ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গোল করলেন টানা ১৮ আসরে এবং গড়লেন ৩৯টি ভিন্ন দলের বিপক্ষে গোলের রেকর্ড। বিরতির পর আক্রমণের ধার বাড়ায় পিএসজি। যার সুফল মেলে ৬৮তম মিনিটে। দুর্দান্ত এক পাসে এমবাপেকে খুঁজে নেন মেসি।
প্রথম স্পর্শে দূরের পোস্ট ঘেঁষে বল ঠিকানায় পাঠান ফরাসি ফরোয়ার্ড (২-১)। সমতায় ফিরতে মরিয়া হাইফার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকেন নেইমার। ৮৮তম মিনিটে ভেরাত্তির উঁচু করে বাড়ানো বল পেয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার (৩-১)। বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পিএসজি। গ্রুপের অন্য ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসকে ২-১ গোলে হারিয়েছে পর্তুগিজ দল বেনফিকা।