বলিউড বাদশা শাহরুখের ‘পাঠান’সিনেমা বিতর্কে উত্তাল গোটা ভারত। এরই মধ্যে সিনেমাটি বন্ধের ডাক দিয়েছে ভারতীয় বিশাল জনগোষ্ঠীর মানুষ। গেরুয়া রঙের বিকিনি পরার জন্য প্রথমেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয় দীপিকা ও শাহরুখ খানকে। এরপরই শাহরুখকে জ্বালিয়ে খুন করার হুমকি দেওয়া হয়। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) আবারও হুমকির মুখে পড়তে হয় শাহরুখকে। ভারতের অযোধ্যার সাধু মোহন্ত পরমহংস দাস সোমবার শাহরুখের পিন্ডদানের রীতি মেনে একটি পূজা করেন, যাকে হিন্দিতে বলে তেরভী।
মানুষের মৃত্যুর ১৩ দিন পরেই এই রীতি পালন করা হয়। তার মতে, এটি জিহাদের শেষ, যা সিনেমার মধ্যে দিয়ে শুরু করেছিলেন শাহরুখ খান নিজেই। সোমবার অযোধ্যায় একটি মাটির পাত্র নিয়ে তিনি পূজায় বসেন। কয়েকটি মন্ত্রচারণের পর সেই পাত্রটি মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে ভেঙে দেন তিনি। এরপর সেই সাধু বলেন, ‘আমি সবাইকে আবেদন করছি, যে যে হলে পাঠান রিলিজ করবে, সেই সেই প্রেক্ষাগৃহে আগুন লাগিয়ে দিন। বলিউড ও হলিউড সমানে সনাতন ধর্মকে নিয়ে মজা করছে, হিন্দু দেব দেবীদের অপমান করছে। পাঠান ছবিতে গেরুয়া রঙের বিকিনি পরে সাধুদের ও ভারতীয়দের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছেন দীপিকা পাড়ুকোন। কী দরকার গেরুয়া রঙের বিকিনি পরার ও কোনো গানে এরকম নাচার?’
কিছুদিন আগেই শাহরুখ খানকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার হুমকি দেওয়া হয়। বাদশাকে পুড়িয়ে মারার হুমকি দিয়েছিলেন তাপস্বী চাভনির মহন্ত পরমহংস আচার্য নামে ওই সাধু। তার বক্তব্য, বেশরম রং গানটিতে সিনেমা নির্মাতারা গেরুয়া রংয়ের অবমাননা করেছেন। তারপরই তার হুমকি, ‘শাহরুখকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারব! যে যে হলে এই সিনেমা দেখানো হবে, সেই সব হলেও আগুন লাগিয়ে দেব।’
একইসঙ্গে তিনি ‘পাঠান’ ছবিটি বয়কটেরও ডাক দেন। ওই সাধু জানিয়েছেন, সনাতন ধর্মের মানুষরা নাগাড়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আজ শাহরুখ খানের পোস্টার পুড়িয়েছি। যদি আমি ফিল্ম জিহাদি শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাই, তবে আমি তাকেও জ্যান্ত পুড়িয়ে মারব।’ উল্লেখ্য, ‘বেশরম রং’ বিতর্কে ভারতজুড়ে ‘পাঠান’ সিনেমাটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ চলছে। এমনকি মুম্বাইতে ‘পাঠান’ ছবির কলাকুশলীদের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে।