পাঁচ কৃষককে অপহরণ, মুক্তিপণ না পেয়ে নির্যাতন, উদ্ধার ৩

কক্সবাজারের টেকনাফে পৃথকভাবে পাঁচজন কৃষক অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। পরে তিনজনকে উদ্ধার করা গেলেও এখনো দুজন নিখোঁজ রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে হ্নীলা ইউনিয়নের পানখালী ও মরিচ্যাঘোনা এলাকায় গভীর অরণ্যে এ ঘটনা ঘটে। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনজনকে উদ্ধার করা হয়।

মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীদের প্রহার ও গুলিতে তিনজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে আবুল মঞ্জুরের ছেলে গুলিবিদ্ধ শাহাজাহান আশঙ্কাজনক অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এছাড়া ঠান্ডা মিয়ার ছেলে আবু বক্কর ও তার ছেলে মেহেদী হাসান (১৮) চিকিৎসাধীন। তবে এখনো পানখালী এলাকার নজির আহমদ ও তার ছেলে মোহাম্মদ হোসেন নিখোঁজ রয়েছেন।

অপহৃতদের আত্মীয়স্বজন ও জনপ্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মতো পাহাড়ের পাদদেশে ধান চাষ ও ক্ষেত-খামার রক্ষণাবেক্ষণ করতেন তারা। সেখান থেকে ৭-১০ জনের সশস্ত্র অপহরণকারী তাদের অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হওয়ায় শাহাজাহানকে গুলি করা হয়। অপর দুইজনকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে অপহরণকারী দল। পরে তাদের আত্মীয়স্বজনরা খবর পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

ভুক্তভোগী শাহাজাহানের বাবা আবুল মঞ্জুর জানান, আমার ছেলে শাহাজাহান ধানক্ষেত পাহাড়া দিতে গেলে সশস্ত্র অপহরণকারীরা তাকেসহ কয়েকজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না পেয়ে গুলি করে মেরে ফেলার চেষ্টা চালায়। এখনো জানি না ছেলে বাঁচে কিনা? অপহরণকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন পরিচিত বলেও জানান তিনি।

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, নিয়মিত ধানক্ষেত-খামার রক্ষণাবেক্ষণের কারণে সেখানে যেতে হয়। সেখান থেকে অপহরণকারীরা তাদের অপহরণ করে। মুক্তিপণ না পাওয়ার কারণে বেশ কয়েকজনকে রক্তাক্ত করে। এ ব্যাপারে থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি শুনেছি। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *