সিলেট স্ট্রাইকার্সের তরুণ উইলোবাজ তৌহিদ হৃদয় নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন। এবারের বিপিএল তার ক্যারিয়ারে এনে দিয়েছে নতুন মাত্রা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে দারুন সময় কাটাচ্ছিলেন বগুড়ার এ ২২ বছরের যুবা। তার বৃহস্পতি ছিল তুঙ্গে। টানা তিন ম্যাচে ম্যাচ সেরার পুরস্কারের দুর্লভ কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছেন মঙ্গলবার। আগের দুই ম্যাচে ম্যাচ জেতানো হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে জিতেছিলেন সেরার পুরস্কার।
মঙ্গলবার শেরে বাংলায় ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ৪৬ বলে ৮৪ রানের উত্তাল ইনিংস উপহার দিয়ে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ২০০‘র ঘরে পৌঁছে আবারও ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু এ কৃতিত্ব ও সুখটা মাঠে থেকে উপভোগ করতে পারেননি। ফিল্ডিংয়ের সময় বলের সিমের আঘাত লেগে বাঁ হাতের তালু এবং আঙুল ফেটে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে।
শুধু হাত ও আঙুল ফেটে ঢাকা ডমিনেটরস ইনিংসের ১২ নম্বর ওভারে মাঠ ত্যাগই নয়, ফেটে যাওয়া জায়গায় ৮টি সেলাই দিতে হয়েছে তৌহিদ হৃদয়ের এবং বিসিবি চিকিৎসকরা তাকে ২ সপ্তাহর পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। এর অর্থ চট্টগ্রাম পর্বে আর মাঠে নামা হচ্ছে না তৌহিদ হৃদয়ের।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের মিডিয়ার ম্যানেজার মিনহাজউদ্দীন খান মঙ্গলবার গভীর রাতে এ তথ্য জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেনের স্কোয়ার কাট ধরতে গিয়ে বাঁ-হাতের তালু ফেটে রক্ত বেরিয়ে পড়ে হৃদয়ের। ফিজিও এসে তাকে ধরে ড্রেসিং রমে নিয়ে যান।
সিলেটের পেসার রেজাউর রহমান রাজার শর্ট বলে সজোরে স্কোয়ার কাট করেছিলেন নাসির। প্রচণ্ড গতিতে যাওয়া সেই শট বুক সমান উচ্চতায় চলে যায় ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে দাঁড়ানো তৌহিদ হৃদয়ের কাছে। তিনি তা ধরে রাখতে পারেননি। মারের প্রচণ্ডতায় বল গিয়ে আঘাত করে তার হাতের তালুতে। সঙ্গে সঙ্গে বলের সিমে লেগে তালু এবং আঙুল ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যায় তার হাত।