জ্যাকুলিনকে ‘নির্দোষ’ দাবি করে সুকেশের চিঠি

বলিউড তারকা জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজকে সুকেশ চন্দ্রশেখরের কারণে সমালোচনা ও ঝামেলায় পড়তে হয়েছে। জ্যাকুলিনের এই সমস্যার কারণে ভীষণ লজ্জিত হয়েছেন সুকেশ। বন্দি অবস্থায় থেকেও এ বিষয়টি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন সুকেশ। ভারতীয় গণমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমস’ এ প্রকাশিত সংবাদে এ তথ্য জানা গেছে।

সুকেশ তার চিঠিতে লিখেছেন, অহেতুক অভিনেত্রীর (জ্যাকুলিন) নাম জড়ানো হয়েছে। তাকে কারণ ছাড়াই হেনস্থা করা হয়েছে। এত কিছুর দরকারই ছিল না। এমন কথা লিখে নিজের আইনজীবীর মাধ্যমে গত সপ্তাহে আদালতে একটি চিঠি পেশ করেছেন সুকেশ। সেই চিঠির প্রতিক্রিয়া জানালেন জ্যাকুলিনের পক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত পাতিল।

প্রশান্ত পাতিল দাবি করেছেন, তার মক্কেল নির্দোষ। অভিনেত্রীর (জ্যাকুলিনের) সম্মান বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত তিনি লড়বেন বলেও জানিয়েছেন। জ্যাকুলিন কোনোভাবেই ২০০ কোটি রুপির তহবিল তছরুপ কাণ্ডে জড়িত নন। আইনজীবীর মাধ্যমে চিঠি পাঠিয়ে স্পষ্ট করতে চেয়েছেন জেলবন্দি সুকেশ চন্দ্রশেখর।

সুকেশের দাবি, দামি গাড়ি থেকে শুরু করে যত ধরনের উপহার ও আর্থিক লেনদেন, সবকিছুই ভালোবেসে জ্যাকুলিনকে দিয়েছেন। কারণ তারা প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। সেখানে উপহার দেওয়া কি অস্বাভাবিক? দীর্ঘ সেই চিঠিতে এমন আরও অনেক কিছু ফাঁস করেছেন সুকেশ, যা প্রকাশ্যে এসেছে গত ২৩ অক্টোবর।

সেই চিঠির প্রেক্ষিতে জ্যাকুলিনের আইনজীবী বলেন, ‘যদি এই চিঠি সুকেশের লেখা হয়, তা হলে তার দাবি অনুযায়ী জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ পুনরায় তদন্ত করে দেখা উচিত। ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) সেটা করুক। প্রয়োজনে সুকেশের রেকর্ড করা বক্তব্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হোক। সত্যের পথে তো যেতেই হবে। কারণ তদন্তের উদ্দেশ্য তো সত্য বের করে আনা।’

প্রশান্ত পাতিল আরও জানান, তিনি নিশ্চিতভাবে জানেন, জ্যাকুলিন নির্দোষ। ওই চিঠিতে সুকেশ জানিয়েছেন, ‘জ্যাকুলিনের নাম এতে জড়িয়ে পড়া দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। আগেও বলেছি, আমরা সম্পর্কে ছিলাম। ওকে আর ওর পরিবারকে উপহার দিয়েছি। এটা কি তাদের দোষ হতে পারে? আমার কাছে ভালোবাসা ছাড়া কখনো কিছু চায়নি জ্যাকুলিন। বলেছিল, সবসময় তার পাশে থাকতে। আমি যা খরচ করেছি তা ওদের উপহার দিতে খরচ করেছি। তা বৈধ আয় থেকেই করেছি। তার প্রমাণ আমি আগেও আদালতে দিয়েছি।’

গত শনিবার দিল্লির পটিয়ালা আদালতে জ্যাকুলিনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দিতে চেয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।

ইডির সূত্রে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলাকালীন ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন জ্যাকুলিন। কিন্তু লুক আউট নোটিশ জারি থাকায় তা পারেননি। আদালতের নির্দেশে জ্যাকুলিনের অন্তর্বর্তী সুরক্ষার মেয়াদ বাড়িয়ে আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। পরবর্তী শুনানি সে দিনই হবে বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *