চিনির দাম বাড়লেও কমেনি তেলের দাম

চিনিতে ৬ টাকা বাড়িয়ে ও পাম তেলে ৮ টাকা কমিয়ে নতুন দর নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এর ফলে খোলা চিনি প্রতি কেজি ৯০ টাকা, সুপার পাম অয়েল প্রতি লিটার ১২৫ টাকা নির্ধারণ হয়েছে। এর আগেই প্রতি লিটার সয়াবিনে ১৪ টাকা কমিয়ে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দাম পুনর্নির্ধারণের এ ঘোষণার পর বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। তবে সয়াবিন তেল আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বাজারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকায় এবং খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা দরেই বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এছাড়া দীর্ঘদিন ধরেই মাছ, ডিম ও সবজির দাম চড়া। সেগুলো আগের মতোই রয়েছে। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর মিরপুরে মুসলিম বাজার, ৬ নম্বর ও ১১ নম্বর বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে প্রতি কেজি করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, পটল, ঢেড়স ও শসা ৬০ টাকা করে, টমেটো ১৪০, গাজর ১২০-১৩০, পেঁপে, কাচকলা ও আলু ৩০ টাকা করে এবং বরবটি ৬০-৭০ টাকা করে বিক্রি করছেন সবজি ব্যবসায়ীরা।

বাজারে শীতের সবজি হিসেবে পরিচিত শিমের দাম কমেছে ২০ টাকা। গত সপ্তাহে ১ কেজিতে শিম বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায়, যা এ সপ্তাহে নেমেছে ১৪০ টাকায়। এছাড়া ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা ও মুলা প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির মতো শাকের দামও চড়া। প্রতি আঁটি লালশাক ২৫ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা আর পুঁইশাক বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস লাউ ৫০-৭০ টাকা, জালি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির ডিমের দাম ১৪৫ টাকায় অপরিবর্তিত থাকলে ৫ দিনের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়েছে হাঁসের ডিমের দাম।

মুসলিম বাজারের আপটেক ডিম হাউজের ব্যবসায়ী আবদুল্লাহ গফুর  বলেন, ৫ দিন আগেও হাঁসের ডিম ১৭০ টাকা ছিল, সেটা এখন ২১০ টাকা। আমরা প্রতিদিনের মাল প্রতিদিন আনি। আড়ৎ থেকে বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

স্কুলশিক্ষক শামসুল আমিন বলেন, যুদ্ধের কথা বলে সবকিছুর দাম বাড়ানো হয়েছে। বিশ্ববাজারে সব কিছুর দাম কমেছে এখন। কিন্তু বাংলাদেশে একবার যে জিনিসের দাম বাড়ে, সেটা আর কমে না।

প্রতি কেজি তেলাপিয়া ২০০ টাকা, রুই ২৫০ টাকা, পাঙাস ১৬০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০ টাকা, কৈ ২২০-২৫০ টাকা, শিং মাছ আকার ভেদে ৫০০-৭৫০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি মাছ ৬০০-১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকা কেজিতে।

মুরগির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৮০ টাকা। এছাড়া লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা কেজি এবং সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আটাশ চালের কেজি ৬০ টাকা, মিনিকেট ৭০-৭৫ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৫৫ টাকা, স্বর্ণা ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ টাকা কেজি। মশুর ডাল (মোটা) প্রতি কেজি ১১০ টাকা, চিকন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এছাড়া পেঁয়াজের কেজি জাত ও মানভেদে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা ১৯০-২০০ টাকা হয়েছে।

মেসার্স স্বপন স্টোরের ব্যবসায়ী সজিব ইসলাম বলেন, কয়েক সপ্তাহ ধরে আদার দাম বাড়ছিল। গত সপ্তাহেও খুচরা বাজারে আদার দাম ছিল ১৭০ টাকা, সেটা এক লাফে ২০ টাকা বেড়েছে এ সপ্তাহে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে মাংসের দাম। গরুর মাংস ৭০০ টাকা আর খাসির মাংস ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *