আর মাত্র কয়েক বছর! এর পরেই পাওয়া যাবে ক্যানসার, হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগের টিকা। ২০৩০ সালের মধ্যেই জীবনরক্ষাকারী এসব টিকা বাজারে ছাড়বে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা মডার্না। এমনকি তার আগেও টিকাগুলো সাধারণ মানুষের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হতে পারে বলে আশাবাদী তারা।
গত শনিবার (৮ এপ্রিল) মডার্নার চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. পল বার্টন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে চমকপ্রদ এসব তথ্য জানিয়েছেন। টিকার বিষয়টি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’কে নিশ্চিত করেছেন মডার্নার এক মুখপাত্রও।
সাক্ষাৎকারে ডা. বার্টন বলেছেন, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিভিন্ন জটিল রোগের জন্য এমআরএনএ টিকার গবেষণায় ব্যাপক সাফল্য পাওয়া গেছে। কিছু গবেষক বলছেন, গত ১২ থেকে ১৮ মাসে ১৫ বছরের সমান অগ্রগতি হয়েছে। তিনি বলেন, যদি ভেবে থাকেন, এমআরএনএ শুধু সংক্রামক রোগের জন্য বা শুধু কোভিডের জন্য ছিল, তাহলে এখন প্রমাণিত হয়েছে, তা একেবারেই নয়।
এটি সব ধরনের রোগের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যেতে পারে; আমরা ক্যানসার, সংক্রামক রোগ, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, অটোইমিউন রোগ, বিরল রোগের কথা বলছি। এসব টিকার গবেষণায় ‘অসাধারণ প্রতিশ্রুতি’ দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এ বিশেষজ্ঞ।
ডা. বার্টন মডার্নার তৈরি ‘পারসোনালাইডজ ক্যানসার ভ্যাকসিন’-এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। বহুল প্রত্যাশিত এই টিকা বিভিন্ন ধরনের টিউমারকে নিশানা করে তৈরি হচ্ছে। বার্টন বলেছেন, এই এমআরএনএ টিকা ‘অত্যন্ত কার্যকর’ হবে এবং ‘লাখ লাখ না হলেও কয়েক হাজার জীবন বাঁচাতে পারে’।
এখন পর্যন্ত কোনো চিকিৎসা নেই এমন সব বিরল রোগ মোকাবিলায় মেসেঞ্জার আরএনএ’র সম্ভাবনার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন মডার্নার এ কর্মকর্তা। এই থেরাপিগুলো এখন থেকে এক দশক পরে সহজলভ্য হবে বলে আশাপ্রকাশ করেন তিনি।
বার্টন বলেন, আমি মনে করি, এখন থেকে ১০ বছর পরে আমরা এমন একটি জায়গায় পৌঁছাবো, যেখানে আপনি সত্যিই একটি রোগের জেনেটিক কারণ শনাক্ত করতে এবং এমআরএনএ-ভিত্তিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সহজেই তা সারিয়ে তুলতে পারবেন।