দু’দুবার পেনাল্টি মিস করলেন। মাঠ ছাড়লেন আবার চোট নিয়ে। কিলিয়ান এমবাপের দুঃস্বপ্নের এক রাত কাটলো বুধবার। চোটের কারণে এই ম্যাচে ছিলেন না নেইমারও।
তবে সব চাপ আর শঙ্কা কাটিয়ে দলকে পথ দেখালেন লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকা দারুণ সব আক্রমণে নেতৃত্ব দিলেন, গোলও পেলেন। মঁপেলিয়েকে হারিয়ে লিগ ওয়ানে জয়ের ধারায় ফিরলো পিএসজি। প্রতিপক্ষের মাঠে বুধবার রাতে ৩-১ গোলে জিতেছে ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা।
ফ্যাবিয়েন রুইস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মেসি। শেষ দিকে একটি গোল শোধ করে মঁপেলিয়ে। তবে যোগ করা সময়ে ওয়ারেন জায়ার-এমেরির গোলে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্রিস্টোফে গালটিয়েরের দল।
ম্যাচে বল দখল থেকে শুরু করে আক্রমণে প্রাধান্য ছিল পিএসজিরই। ৬৭ ভাগ বল দখলে রেখে মোট ১৯টি শট নেয় তারা, যার ৮টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে ৬ শটের তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারে মঁপেলিয়ে।
প্রথমার্ধে গোল পায়নি কোনো দল। তবে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারতো পিএসজি। অষ্টম মিনিটে মেসির ফ্রি কিকে ডি-বক্সে সার্জিও রামোসকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সফরকারীরা। কিন্তু এমবাপের স্পট কিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন মঁপেলিয়ে গোলরক্ষক লেকমতে।
তবে শট নেওয়ার আগেই গোলরক্ষক লাইন ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। তাই এমবাপে আবার পান পেনাল্টি শট নেওয়ার সুযোগ। সেটিও কাজে লাগাতে পারেনি ফরাসি ফরোয়ার্ড। এবার তার বুলেট গতির শট লাগে বাঁ দিকের পোস্ট। ফিরতি বলেও সুযোগ ছিল, তবে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি এমবাপে।
২১তম মিনিটে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পেয়ে মাঠ ছাড়েন এমবাপে। এর কিছুক্ষণ পর হেড করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পান রামোস। তিনিও মাঠ থেকে বেরিয়ে যান।
৩৪তম মিনিটেই গোল পেতে পারতেন মেসি। তার শট মঁপেলিয়ের একজনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। তবে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক অফসাইডে থাকায় গোল দেননি রেফারি।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ মিনিটের মাথায় দলকে এগিয়ে নেন রুইস। ৭২ মিনিটে তারই বাড়ানো বল ধরে গোলরক্ষককে কাটিয়ে দারুণ এক গোল করেন মেসি। ৮৯তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে মঁপিলিয়ের এক গোল শোধ করেন নুরদিন।
তবে যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে জায়ার-এমেরি পিএসজির জয় নিশ্চিত করে ফেলেন। এতে ২১ ম্যাচে ১৬ জয় ও তিন ড্রয়ে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রইলো পিএসজি। সমান ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে মার্শেই।